আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে      

 width=
 

তিস্তা ব্যারাজের রাউটার চুরি নিয়ে রহস্য

বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০, বিকাল ০৬:৫৯

বিশেষ প্রতিনিধি॥ তিস্তা ব্যারাজের জলকপাট নিয়ন্ত্রনে স্থাপিত অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমের রাউডার চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার(৯ জুলাই/২০২০) বিষয়টি নিশ্চিত করেন নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের তিস্তা ব্যারাজ যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা। তিনি জানান এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হয়েছে। সূত্র মতে, সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ফাস্টকম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমটি চালু করা হয়েছিল তিস্তা ব্যারাজের জলকপাট নিয়ন্ত্রনের জন্য। ২০১৮ সালের জুন মাসে এটি স্থাপন দেখানো হয়। স্থাপনের পর ফাস্টকম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপসের মাধ্যমে তিস্তা ব্যারাজের ৫২টি জলকপাট অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমটি চালু করে। সেখানে মোট ৭টি রাউটার স্থাপন করা হয়। এ অবস্থায় ১৮ মাস যেতে না যেতে অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেমটি সঠিকভাবে কাজ করেনি। এ অবস্থায় ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফাস্টকম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অটোমেশন কাজের চ্যুক্তি শেষ হয়ে যায়। পাশাপাশি পুরো বিল তুলে নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। সুত্রগুলো জানায়, তিস্তা ব্যারাজের মোট জলকপাট ৫২টি। এর মধ্যে মূল নদীর পানি প্রবাহের জন্য রয়েছে ৪৪টি ও সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহের জন্য রয়েছে আটটি জলকপাট। তিস্তা ব্যারাজ নির্মাণের তৎকালিন সময় প্রতিটি জলকপাট নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদ্যুতচালিত সুইট সিস্টেম ও ম্যানুয়াল সিস্টেম রাখা হয়। অভিযোগ রয়েছে ২০০৩ সালে তিস্তা ব্যারাজের জলকপাট নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুতচালিত সুইচ সিস্টেম অচল হয়ে যায়। অচল হয়ে যাওয়া তিস্তা ব্যারাজের বিদ্যুতচালিত সুইচ রুম নতুনভাব স্থাপন করতে নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহার প্রকল্প তৈরি করেন। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে জানায় অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করায় এর ৭টি রাউটারের মধ্যে ৬টি রাউটার পরিকল্পিতভাবে চুরি করার কথা বলা হলেও এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারন তিস্তা ব্যারাজ হলো কেপিআই ওয়ান। এখানে ২৪ ঘন্টায় আনসার বাহিনী ও পুলিশ টহল জোড়দার থাকে। এ অবস্থায় কি ভাবে মূল্যবান রাউটার চুরি হয়। ছয়টি রাউটার চুরি দেখিয়ে অপর একটি রাউটার খুলে রাখা হয় বলে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কথা বলা হলে নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের তিস্তা ব্যারাজ যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা বলেন অ্যাপসের মাধ্যমে অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ব্যারাজের উপর যন্ত্রপাতির সঙ্গে ৭টি রাউটার স্থাপন করা ছিল। রাউটার গুলো কি ভাবে চুরি হয়েছে, না কেউ খুলে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। তিনি বলেন আমরাও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ঠিকাদারকে চুড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়নি। এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা থানায় যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়- এ ঘটনায় দোয়ানী আইসি ক্যাম্পে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। এ বিষয়ে তাদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরে মামলার জন্য এজাহার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি তারা ৯ জুলাই বিকাল পর্যন্ত দায়ের করেননি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied