আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা অনশনে কেন?

সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০, দুপুর ১২:১১

রোকনুজ্জামান রোকন

বার কাউন্সিলের কাজ কী? এক কথায় কাউন্সিলের প্রধান কাজ, ”আইনজীবীদের তালিকাভূক্তি এবং পেশাগত আচরণের শৃঙ্খলা রক্ষা ও এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া”। অথচ এই দায়িত্ব সে পালন করছে না ফলে দুর্ভোগ তৈরী হয়েছে। ফলে পাশকৃত ১২ হাজার শুধু নয় প্রায় ১ লাখের মতো শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা আজ মহা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। কারণ সামনের ব্যাচ সনদ না পেলে তাদের এবং পরবর্তী ব্যাচের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। ফলে এ সমস্যা শুধু কয়েকজন পাশকৃতদের নয় গোটা আইনের শিক্ষার্থী যারা আইন পেশায় আসতে চায় তাদের। আর ভবিষ্যত আইনজীবীদের এ হাল হলে আইন ব্যবস্থা বড় রকম সংকট হয়ে দাঁড়াবে।

আপাত অর্থে গেজেট চাওয়াটা একটু অন্যরকম হলেও অবস্থাদৃষ্টে তাদের দাবির যৌক্তিকতা আছে। এমনত নয় যে, তারা পরীক্ষা দিতে চায় না! নিয়মিত পরীক্ষা হলে তারা দু বছর আগেই আইনজীবী হিসেবে আইন ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারতো এবং যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারতো। মজার বিষয় হলো গেজেট মানে কোন সরকারি চাকুরি নয়! আইনজীবীদের তালিকাভূক্তি অর্থাৎ আইন পেশা পরিচালনার অমুমোদন। চাচ্ছে মাত্র তালিকাভূক্তি, অস্তিত্ব সংকটকালে অস্তিত্বের স্বীকৃতি।

হাইকোর্টের বারান্দায় তারা অনশনে বসে রাত্রীযাপন করছে তাদের এতটুকুন স্বীকৃতির জন্য। নিজের অবহেলার দায় শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের উপর না চাপিয়ে বার কাউন্সিলের উচিৎ হবে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়া। এবং এটা নিশ্চিৎ করা যে, আগামী বছর থেকে আপীল বিভাগের রায়ের নিদের্শনা অনুযায়ী তালিকাভূক্তির কাজ সম্পন্ন করা। প্রতি ক্যালেন্ডার বছরে একবার আইনজীবী অন্তর্ভূক্তির কাজ সম্পন্ন করলে আগামী সময়ে এরকম জটিলতর পরিস্থিতি তৈরীর সম্ভবনা কম। আবারও বলছি, আন্দোলনকারীরা পরীক্ষা দিতে চায় সেটা নিতে আপনারা চরমতম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন! দায় স্বীকার করে, এতোটা পথ হাটা পথিককে একটু জিরোতে দিন। ভুলে গেলে চলবে না এটা আপনাদের দায়িত্ব কোন অনুকম্পা নয়! আর এই জট নিরসনই পথনির্দেশ করবে আগামী দিনের আরো লক্ষাধিক শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের তালিকাভূক্তির জট নিরসনের রাস্তা।

লিখেছেন: রোকনুজ্জামান রোকন, সাবেক সভাপতি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, রংপুর জেলা। তারিখঃ ১৩ জুলাই ২০২০

মন্তব্য করুন


 

Link copied