মমিনুল ইসলাম রিপন: রংপুর মেডিকেল পূর্বগেট স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় যুবক হত্যাকান্ডের ঘটনায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৫ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে আদালতে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার ডিবি মোঃ আলতাফ হোসেন জানান, গত ১১ জুলাই সন্ধ্যায় স্টাফ কোয়ার্টারের নার্সিং কলেজের সামনে জাহিদুন নবী সোহেলকে (৩২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে সোহেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র নার্স হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় ১২ জুলাই মামলা দায়ের করে। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত মেডিকেল পূর্বগেট এলাকার মতিন ওরফে ডোম মতিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সোহাগ (২৭), পান্ডারদিঘির খতিবর রহমানের ছেলে আল ইবনে আজিম ওরফে ব্রিটিশকে (৩১) লালমনিরহাট হাতিবান্ধা দইখাওয়া গ্রাম থেকে ১৭ জুলাই ভোরে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার হওয়ায় আসামীদের রোববার বিকেলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে তারা ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এর আগে ১৪ জুলাই শিমুল বাগের আশিক মিয়া অপু, আনাম হোসেন আফ্রিদি, বরকত উল্লাহ্ আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়।
মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, সোহেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমরা দ্রæততার সাথে আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামীরা আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মামলার সাথে জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।