প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ফরাশগঞ্জ এলাকার লালকুঠিতে এক নির্বাচনী প্রচারাভিযানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, এরশাদের নির্দেশে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে নির্বাচনে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি।
জি এম কাদের বলেন, “আমাদের দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। যেহেতু তিনি সরাসরি কথা বলতে পারছেন না, সেহেতু তার নির্দেশনা জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ও আমি জানাই। তার (এরশাদের) নাম করে কেউ কিছু বললে, তা তার নামে হবে না। তিনি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছেন।”
তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন না করার জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছিলাম। কিন্তু তা টেকনিক্যাল কারণ দেখিয়ে গ্রহণ করা হয়নি। এরপরও আমরা নির্বাচনে নেই।”
তিনি আরে বলেন, “আমি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি মন্ত্রী নেই। গাড়ি, বাড়িতে পতাকা ব্যবহার করি না। সুযোগ-সুবিধাও নেই না। এখন সরকারের দায়িত্ব গেজেট প্রকাশ করা।”
জি এম কাদেরের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপার ধূম্রজাল আরো ঘনীভূত হলো। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা এখনো জানেন না, তাদের অবস্থান কী। এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।