অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া চেকপোস্টের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৯ আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট), এ আদেশ দেন আদালত। এর আগে, আজ বিকেলে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
এদিকে, গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ হেফাজতে কক্সবাজারে নেয়া হয় টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপকে। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকেল পাঁচটার দিকে কক্সবাজার পৌঁছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপ কুমার দাশ।
বুধবার (৫ আগস্ট) সকালে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ ও বাহারছড়া চেকপোস্টের আইসি লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন নিহতের বোন।
এই মামলায় বাহারছড়া চেকপোস্টের ইনচার্জ এস আই লিয়াকত হোসনকে ১ নম্বর ও প্রত্যাহারকৃত টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করে আরো ৭ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন: উপপরিদর্শক (এস আই) নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এ এস আই লিটন মিয়া, এস আই টুটুল, কনস্টেবল মো. মোস্তফা।
আদালতের নির্দেশে গতরাতে টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করা হয় মামলাটি। এর পরপরই এজাহারভুক্ত ৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র্যাবকে।