এদিকে নগরীর বাইরে বিভাগের ৫৬ টি রুটে কোন ধরনের ভারী যানবাহন চলছে না। অবরোধের কারণে ভারী যানবাহন চলাচল না করার কারনে রিকশা আর অটো রিকশাই মানুষের জরুরী কাজে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে দেখা দিয়েছে। উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ডগুলোতে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে আঠারো দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। অনেক রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ গড়ে তোলা।
সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আঠারো দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। হাজিরহাট এলাকায় মহানগর শিবিরের উদ্যোগে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়। এসময় সেখানে পরপর ৫ টি ককটেল বিষ্ফোরণ হয়। নগরীতে দোকানপাট খোলা থাকলেও মানুষের উপস্থিতি ছিল কম।
দুপুর সাড়ে ১২ টায় নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ বের করে আঠারো দল। মিছিলটি জাহাজ কোম্পানীর মোড়, সুপার মার্কেট মোড়, সিটি বাজার হয়ে পায়রা চত্বরে এসে সমাবেশ করে। আঠারো দলের আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সামসুজ্জামান সামু, শহিদুল ইসলাম মিজু, সুলতানুল আলম বুলবুল, মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা সভাপতি জহির আলম নয়ন, সেক্রেটারী মনিরুজ্জামান হিজবুল, জাসাসের জেলা সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের শহর আহবায়ক মতিউর রহমান বাবু, তাতী দলের জেলা আহবায়ক রশিদুল হাসান সুলতান, শ্রমিক দলের রফিক উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা ঘোষণা দেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্র রক্ষা, দেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই রংপুর বিভাগের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন সাধারণ মানুষকে নিয়ে জাতীয়তাবাদি শক্তি প্রতিহত করবেন। পাশাপাশি রংপুরে যেখানেই আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগকে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে। যদি প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা কোন কিছু করতে চাও তাহলে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
আঠারো দলের নেতারা দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জনগনের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জনগনকে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। পরে মিছিলটি আবারও দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে যে কোন ধরনের নাশকতা এড়াতে নগরীতে বিপুল পরিমান বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ সাহাবুদ্দিন খলিফা জানান, পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। কেউ কোন ধরনের সহিংসতা বা নাশকতার চেষ্টা করলে তা কঠোর ভাবে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত আইনশৃংখলাবাহিনী।