আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা!

রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, সকাল ০৭:৫৭

ডেস্ক: স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে, সেই সঙ্গে ধর্ষিতাকে থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ। মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী রংপুর নগরীর কেরানীপাড়া মহল্লার মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের মেয়ে। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০১৭ সালে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির সঙ্গে মেয়েটির পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটি জানায়, রনি তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ভারত, ঢাকা, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় কাজের কথা বলে ১৮ লাখ টাকা নিয়েছে। তারপরও বিয়ের কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। পরে তার বন্ধুবান্ধব ও স্বজনদের চাপে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ের কথা বলে নীলফামারীতে নিয়ে যায়। সেখানে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমারের বাসায় নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাজী এনে তাকে বিয়ে দেখানো হয়। এরপর রাতে বাসরঘর বানিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা অভিযোগ করেন, রনি এরইমধ্যে ৬ বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে। যার ফলে সামনে ছাত্রলীগে জায়গা না পাওয়ার আশঙ্কায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে মরিয়া। সে জন্য ২০ লাখ জোগাড় করে দিতে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এদিকে ভুয়া বিয়ের কথা জানার পর ধর্ষিতা রনিকে আবারও বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে চলতি বছরের ৫ জুন তাকে কেরানিপাড়ার বাসায় নিয়ে রাত্রি যাপন করে এবং ধর্ষণ করে। কথা দেয় তাকে স্ত্রীর অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে বাসায় নিয়ে যাবে। কিন্তু এরপর বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। মেয়েটির অভিযোগ, উল্টো রনি তাকে তার জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। বলে, প্রশাসন তার কথা মতো চলে। এত কিছুর পরও রনির সঙ্গে সংসার করতে মিনতি জানায় মেয়েটি। এরপর গত ১২ জুলাই রংপুর নগরীর গনেশপুর ক্লাব মোড় এলাকার ফুফুর বাড়িতে মেয়েটিকে নিয়ে যায় রনি। সেখানে গিয়ে বলে তার সঙ্গে কোনও বিয়ে হয়নি, রেজিস্ট্রি হয়নি, কোনও কাবিননামাও নেই। এরপর তার সহযোগিদের দিয়ে তাকে সে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ধর্ষিতা পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলে তাকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। এরপর থানায় হাজির হয়ে লিখিত এজাহার দায়ের করেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের মেহেদী হাসান রনিকে সভাপতি করে এক বছর মেয়াদী কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু তিনি অবৈধভাবে ৬ বছর ধরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন। রনির বাড়ি রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার বাজিতপুর ফতেহপুর গ্রামে। বাবার নাম আবু বক্কর।

মন্তব্য করুন


 

Link copied