আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

দিনাজপুরে ইউএনও'র উপর হামলাকারী আসাদুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে (ভিডিও)

রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, রাত ০৮:৪৪

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে: দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানমে’র উপর হামলার প্রধান আসামী আসাদুল হককে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে,আদালত। আজ রোববার বিকেল ৫টায় দিনাজপুরের আমলী আদালত-৭ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান সরকার আদালতে আসামী আসাদুল হককে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি-গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাম আবু জাফর আসামীর বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মামলার প্রধান আসামী আসাদুল হক শারীরিক অসুস্থ থাকায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় গতকাল শনিবার আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি বলে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আদালতকে জানান। র‌্যাব-১৩ সদর দপ্তর রংপুর থেকে এর ডিএডি বাবুল খানের নেতৃত্বে শনিবার রাতে আসাদুলকে ঘোড়াঘাট থানায় সোপর্দ করে। আজ রোববার বিকেল ৫ টায় পুলিশ আসামীকে আদালতে হাজির করেন। এদিকে দিনাজপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানমে’র ঘটনাস্থল সরকারি বাসভবন“শাপলা”য় আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। ১০ জনের কথা থাকলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় আপাতত: সেখানে ৪ জন আনসার মোতায়েন করা হয়। প্রসঙ্গত: গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন ঘোড়াঘাট থানার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওমর আলী। ওয়াহিদা খানমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলেও তার বাবা চিকিৎসাধীন আছেন রংপুরে।বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াহিদা খানমের আড়াই ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের পর রাতেই জ্ঞান ফিরেছে। বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে ইউএনও ওয়াহিদা খানম। এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ আহমেদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানার একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রধান আসামি আসাদুল হক (৩৬)কে হিলি সীমান্তের কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় গ্রেফতার করে। এর আগে ঘোড়াঘাট থেকে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম (৪২) (আটকের পর বহিষ্কৃত) ও মাসুদ রানা (৩৪) নামে আরও দু’জনকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধান আসামী আসাদুলের স্বীকারোক্তি মতে,শুক্রবার দুপুরে ঘোড়াঘাট থেকে মুল পরিকল্পনাকারী রং মিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম (৩২) এবং বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের সান্টু কুমার বিশ^াসকে আটক করে র‌্যাব। সেই সাথে প্রধান আসামী আসাদুল ঘটনার সময় পরিহিত লাল রঙের টিশার্ট’টিও তার বাড়ি থেকে র‌্যাব উদ্ধার করে।পরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় র‌্যাব-১৩ সদর দপ্তর রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান,চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা চালিয়েছে ৩ জন।তা মুল আসামি আসাদুল স্বীকার করেছে। পরে আটক যুবলীগ নেতা(বর্তমানে বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলমকে ছেড়ে দেয় র‌্যাব। ঘোড়াঘাট উপজেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে পৃথক পৃথক ভাবে শনিবার সন্ধ্যায় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় ৩ যুবককে আটক করে। এরা হলেন,ঘোড়াঘাট উপজেলা সদর ওসমানপুর সাগরপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩৯),চক বামনিয়া বিশ^নাথপুর এলাকার ধারেন দাশের ছেলে শ্যামল দাস (৩০) ও একই এলাকার মৃত তৌমুদ্দিনের ছেলে ইউএনও কার্যালয়ের মালি মোঃ. সুলতান (৩১)। আশরাফুল ইসলাম ওরফে শাওন জেনারেটর ও আইপিএস ব্যবসায়ী। ইউএনওকে হামলা ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রধান সন্দেহভাজন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা আসাদুল ইসলামের ভাই আশরাফুল ইসলাম ওরফে শাওন। আসাদুলের বোন রত্না বেগম জানান, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তার ভাই শাওনকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ। অন্যদিকে ইউএনও কার্যালয়ের মালি মোঃ. সুলতানকে উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের এখনো আদালতে হাজির করা হয়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied