আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

রংপুর ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: প্রতিবাদে থানা ঘেরাও (ভিডিও)

রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, রাত ১০:২৩

এদিকে, মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টা পরেও প্রধান আসামি রনিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদসহ কোনও পুলিশ কর্মকর্তাই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান কানন বলেছেন, ‘যেহেতু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে, তাই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগতভাবেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে আমাদের কিছুই বলার নেই।’ সমর্থকদের থানা ঘেরাও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রংপুর ছাত্রলীগ এর দায় নেবে না।’

অন্যদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। একটি অংশ চাচ্ছে, রনি অপরাধ করে থাকলে তার বিচার হোক। আবার কেউ কেউ রনির পক্ষে অবস্থান নিলেও তাদের কোনও তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।

এ ঘটনায় শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি রনি ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল শিক্ষিকা। মামলা রেকর্ড করার পর পরই তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পুলিশি হেফজাতে নেওয়া হয়। কিন্তু মামলা করার খবরটি জানাজানি হলে জেলা আওয়ামী লীগের দু-তিন জন নেতা থানায় আসেন। এ সময় রনির সমর্থক অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা মামলাটিকে মিথ্যা দাবি করে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

একইভাবে রবিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে আবারও জেলা ছাত্র লীগের যুগ্মসম্পাদক জিয়নের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী কোতয়ালি থানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে রনির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ ব্যাপারে জিয়ন সাংবাদিকদের জানান, মেয়েঘটিত একটি ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি রনির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরাও একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম, সেটা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ করছি।’

উল্লেখ্য, শনিবার কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষিকা জানান, ২০১৭ সালে রংপুর জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রনির বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর ফতেহপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আবু বক্কর। পরিচয়ের পর থেকে তাদের মাঝে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটি জানায়, রনি তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে ঢাকা কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণে করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কাজের কথা বলে ১৮ লাখ টাকাও নিয়েছে। এর পরে বিয়ের কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। পরে তার বন্ধুবান্ধব ও স্বজনদের চাপে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে করার জন্য তাকে নীলফামারীতে নিয়ে যায়। সেখানে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমারের বাসায় নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাজী এনে তাকে বিয়ে করে। ওই রাতে তাকে ধর্ষণ করে রনি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বিয়ের পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে রনি টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে ছয় বছর দায়িত্ব পালন করায় রনির ছাত্রলীগ করা হয়তো সম্ভব হবে না, এজন্য জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ২০ লাখ টাকার দরকার বলে রনি জানায়। সেই টাকা জোগাড় করে দিতে ওই শিক্ষিকাকে চাপ দেয় রনি। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এদিকে মেয়েটি রনিকে বিয়ে করার জন্য আবারও চাপ দিলে গত ৫ জুন তাদের বাসায় এসে রনি একসঙ্গে রাত্রিযাপন করে। কথা দেয় তাকে স্ত্রীর অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে বাসায় নিয়ে যাবে। কিন্তু পরে বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। উল্টো রনি তাকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। হুমকি দিয়ে বলে, তার হাত অনেক লম্বা। প্রশাসন তার কথা মতো চলে।এত কিছুর পরেও রনির সঙ্গে সংসার করার জন্য কাকুতি-মিনতি করে মেয়েটি। গত ১২ জুলাই রংপুর নগরীর গনেশপুর ক্লাব মোড় এলাকায় রনি ফুফুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে বলে তার সঙ্গে কোনও বিয়ে হয়নি, রেজিস্ট্রি হয়নি, কোনও কাবিনও হয়নি। এরপর তার সহযোগীদের দিয়ে তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied