বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন। পুলিশের সোর্স রাশেদ ও সুমনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারক রায়ে জনির পরিবারকে ১৪ দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। মামলায় অপর দুই আসামি রাশেদ ও সুমনকে সাত বছর কারাদণ্ড একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ তথ্য জানিয়েছেন।
২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ (৯ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে জনির মৃত্যুর অভিযোগ এনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন নিহতের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি। ওইদিন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।এরপর ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল এসআই জাহিদসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় মোট ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।