আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন       নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু       কিশোরীগঞ্জে পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে এক ব্যাক্তির রহস্যজনক মৃত্যু       উপজেলা নির্বাচনে জাপার প্রার্থী হতে চান না কেউ      

 width=
 

ক্ষোভ থেকেই ইউএনও'র উপর হামলা; হামলাকারী চিহ্নিত (ভিডিও)

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, রাত ১১:০৯

 শাহ আলম শাহী, স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকেঃ ক্ষোভ থেকেই এই হামলা। ঘটনার নায়ক একজনেই। হামলাকারীও একজনই। তবে, নেপথ্য সহযোগি থাকতে পারে কেউ। অবশেষে এমনি তথ্য বেরিয়ে আসছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার ঘটনার। দু'একদিনের মধ্যেই হামলাকারীকে জনসম্মুখে হাজির করা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি জানান,ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে একজনই হামলা করেছে। ক্ষোভ থেকেই এই হামলা। তবে, হামলাকারীর নেপথ্য সহযোগি কেউ থাকতে পারে। ইতোমধ্যে হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। দু'একদিনের মধ্যেই হামলাকারীকে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জনসম্মুখে হাজির করা হবে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন।এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম এর উপর হামলা ঘটনায় প্রত্যাহার করা হয়েছে, ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলামকে। তাকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপি এম এবং পিপিএম( বার)। আজ শুক্রবার সকলে তাকে প্রত্যাহার করা হয় বলে তিনি জানান। তার স্থলে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে,রংপুর সদর থানার ইন্সপেক্টর মো.আজিম উদ্দিনকে। মুলত পুলিশ ইন্সপেক্টর আজিম উদ্দিনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। আর ঘোড়াঘাট থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি আমিরুল ইসলামকে দিনাজপুর পুলিশ লাইনসে নেয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। এদিকে ইউএনও'র উপর হামলার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে আসামি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমারকে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রসংগতঃ ২ সেপ্টেম্বর আত ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ইউএনও ওয়াহিদা খানম এবং তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা ওমর শেখের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা হাতুড়িসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করে। পরে তাদের রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ওমর আলী রংপুরে চিকিৎসাধীন থাকলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউএনও ওয়াহিদাকে এয়ার এম্বুল্যান্স নেয়া হয়, ঢাকার নিউরোসাইন্স মেডিকেল হাসপাতালে। এরপর জরুরি ভিত্তিতে করা হয় অস্ত্রোপচার। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। তবে তিনি এখন সুস্থ্য আছেন। তাঁর বাবা ওমর শেখ কথা বলতে পারলেও তাঁর কোমরের নিচের অংশ এখনো অবশ হয়ে আছে। এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় জেলা গোয়েন্দা-ডিবির ওসি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমাম আবু জাফর। এর মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া রংমিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম এবং সান্টু কুমারকে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আদালতের মাধ্যমে জেল- হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলার প্রধান আসামী বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা আসাদুল আরো একদিনের রিমান্ডে রয়েছে। তারও ৭ দিনের রিমান্ড শেষ হবে আগামীকাল। তবে,মামলার কোন অগ্রগতি না থাকায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে হাজির করে আগামীকাল আসাদুলের আরও রিমান্ড চাইতে পারে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এছাড়াও এ মামলায় জড়িত থাকা সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ইতোমধ্যে কুড়ি জনকে আটক করেছে। তারমধ্যে ছেড়ে দিয়েছে অধিকাংশকেই। ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পর থেকেই মাদক, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংএর বিরুদ্ধে কাজ করে সবমহলে প্রশংসিত হন ইউএনও ওয়াহিদা খানম। ভিডিও লিংকঃ https://www.facebook.com/uttorbanglatv/videos/601128647223433/

মন্তব্য করুন


 

Link copied