নীলফামারী/কিশোরীগঞ্জ প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর॥ মাত্র ৩ মিনিটের ঘুর্নীঝড়ে অসংখ্য পরিবারের বসতঘর তছনছ হয়েছে। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নে আজ শনিবার(২৬ সেপ্টেম্বর/২০২০) বিকাল সারে ৫ টার পর হঠাৎ করে ভারী বর্ষনের সঙ্গে ওই ঘূর্নীঝড় সৃস্টি হয়। গতি কমপে ১০০ কিলোমিটারের মতো হবে বলে এলাকাবাসী জানায়। এতে অসংখ্য গাছপাতাল ভেঙ্গে পড়েছে ও জমির আমন ধান মাটিতে মিশে গেছে।
তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান উক্ত ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান। তিনি বলেন ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়াডের মুসা, ডাঙ্গাপাড়া, বটতলা, গ্রামগুলোর ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে ৩৫ পরিবার বসতঘর ভেঙ্গে গেছে। তবে ক্ষতির পরিমান আরো বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে স্থানীয় স্কুলের রুমে রাখার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, তার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছগির বাজারগ্রামের বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। বৃস্টির কারনে এলাকায় প্রবেশ করা যাচ্ছেনা।
প্রত্যদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনার সময় প্রচন্ড কালো মেঘ ছিল আকাশে। প্রচন্ড ভারীবৃসিট হচ্ছিল। হঠাৎ করে একটি ফানেলের মতো ঘূর্ণিঝড় কয়েক মুহূর্তে এলাকার সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিয়ে যায়।
ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়াডের ইউপি সদস্য আবুজার রহমান জানিয়েছেন, আমি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাত আকাশ কালো হয়ে প্রবল বেগে ঝড় বইতে শুরু করল। দেখলাম বিশাল উঁচু মেঘ মাটি থেকে আকাশ ছুঁয়েছে।
এক নম্বর ওয়াডের ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান ভাকু জানান, নিমিষের মধ্যে ঘুর্নীঝড় তছনছ করে দিল বেশ কিছু বসতঘর ও গাছপালা।
কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়াডের ইউপি সদস্য মিঠুন মিয়া বলেন, জীবনে এমন ঝড় চোখে দেখিনি। হঠাৎ এলো, হঠাৎ চলে গেল। মাঝখানে বেশ কিছু বসতঘর ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়লো। ফসলের জমির আমন ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
নয়া মিয়া (৫৫) জানান ঝড়ে তার বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। তার মতো অসংখ্য বসতবাড়ির টিনের চালা ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে।