মঙ্গলবার(২৯সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা টাকা থেকে লালমনিরহাট শহরের প্রাণ কেন্দ্র মিশন মোড়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করে।
এ আগে বৃহস্পতিবার(২৪সেপ্টেম্বর) রাত নয়টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাসা থেকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
নিহত জাকারিয়া বিন হক শুভ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঘনেশ্যাম(এমসি মোড়) এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। ওয়ালটনের মোবাইল সেক্টরের টেরিটরি সেলস ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। চাকুরীর সুবাধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে শ্বশুরালয়ের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তিনি।
মানববন্ধনে অংশ নেয়ারা জানান, বৃহস্পতিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয়দের খবরে বাসা থেকে জাকারিয়া বিন হক শুভ'র মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
এঘটনায় নিহত শুভ'র বড়বোন হাসিনা নাজনিন বিনতে হক বাদি হয়ে শুক্রবার(২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শুভর স্ত্রী শেহনীলা নাজ ও শাশুড়ি আছমা বেগমসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।
শুভ হত্যার বিচার দাবীতে মঙ্গলবার(২৯ সেপ্টেম্বর) লালমনিরহাটের মিশর মোড়ে মানববন্ধন করেন লালমনিরহাট জেলাস্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কল্যাণ সমিতি। সুষ্ঠ তদন্তপুর্ব অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্বরাস্ট্রমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৈত্রি'র সাবেক সভাপতি মাসুদ মাজহার, মনিরুজ্জামান মানিক, সাবেক সাধারন সম্পাদক নাছিব ইনতেছার, সাবেক সহ সভাপতি তারিকুল ইসলাম তুহিন, নিহত শুভ'র মামা খলিলুর রহমান, শুভ'র বড় ভাই জিন্নাতুল হাসান লেবু প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও নিহত শুভ'র বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয় স্বজন, এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবরে স্মারকলীপি প্রদান করেন তারা। যার অনুলিপি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে প্রদান করেন তারা।