বৃহস্পতিবার (১ লা অক্টোবর) দুপুরে নগরীর জুম্মাপাড়ার আল হেরা গলিতে পানিতে ডুবে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, রংপুরের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জলাবদ্ধতায় নগরীর মিস্ত্রিপাড়া থেকে জুম্মাপাড়া যাওয়ার প্রায় চার কিলোমিটারের রাস্তাটি এখনো হাটু পানিতে নিমজ্জিত। এর মাঝে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দুই পার্শ্বে নিচু এলাকা হওয়ায় অথৈ পানি বিদ্যমান। বিকল্প রাস্তা দিয়ে অনেকদূর ঘুরে যেতে হয় জন্য এলাকাবাসী মাত্র চার ফিট প্রশস্ত এই সরু রাস্তা দিয়েই চলাচল করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মা রোকেয়া বেগম ছোট ছেলে রিপনকে সাথে নিয়ে হাটু পানি মাড়িয়ে বড় ছেলে রোহান মিয়াকে তার মাদরাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। এসময় বড় ছেলে পা পিঁচলে গভীর পানিতে পরে যায়। এ সময় ছোট ছেলেকে হাটু পানিতে রেখে তাকে বাঁচাতে মা পানিতে ঝাপ দিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরক্ষণেই ছোট ছেলে অপর পাশে অথৈ পানিতে পরে যায়। কিন্তু তারা দুজনে আর পানি থেকে উঠে আসতে পারেনি। পরে এলাকাবাসী অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য বড় ছেলেকে মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়েছে।