বৃহস্পতিবার (১অক্টোবর) দুপুরে পাটগ্রাম থানা পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। এর আগে সকালে উপজেলার ধবলসুতি মাঝিপাড়া গ্রামের ধরলা নদীতে এঘটনা ঘটে।
পাথর শ্রমিক মজনু হোসেন উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের ধবলসুতি মাঝিপাড়া এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনই জীবিকা নির্বাহের জন্য মজনু হোসেন নৌকা দিয়ে ধরলা নদী থেকে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে নৌকা নিয়ে নদীতে গেলে ওই এলাকার সাহাজুদ্দিন (সাদ্দিন) নৌকা প্রতীক ৫০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। ওই সময় পাথর শ্রমিক মজনু হোসেন চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় পানিতে ডুবে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান।
এদিকে মজনু হোসেনের পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাহাজুদ্দিন ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়।
সাদ্দিনের ছোট ভাই মোজাম্মেল হক বলেন, অত্যন্ত নির্দয়ভাবে লোহার রড দিয়ে প্রতিবেশীর ছেলে মজনুকে আঘাত করলে রংপুর নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নদী থেকে নুড়ি পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় মজনু হোসেন মারা যায়। পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। দুজনকে শুক্রবার সকালে লালমনিরহাট জেলা হাজতে প্রেরণ করা হবে।