আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি       শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল      

 width=
 

জঙ্গীদের থেকে মানবাধিকারের তথ্য নেয় অ্যামনেস্টি-হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩, দুপুর ১১:৩০

কাতারের অধ্যাপক আল নোয়াইমীর প্রতিমাসে সারাবিশ্বে আল কায়েদার জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেন। স্বাভাবিকভাবেই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ওঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। এরপর অধ্যাপক আল নোয়াইমীর কার্মকাণ্ড নিয়ে কেঁচো খুড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল সাপ।

পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে, অধ্যাপক আল নোয়াইমীর অন্যতম সহকারী হচ্ছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে শুরু করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠন। মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে অধ্যাপক আল নোয়াইমীর কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এ লক্ষ্যে অধ্যাপক আল নোয়াইমীর নেতৃত্বাধীন সংগঠন আল-কারামার সাথেও তথ্য আদান-প্রদানের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

এভাবে, জঙ্গী অর্থায়নকারী অধ্যাপক আল নোয়াইমীর মতো ব্যক্তি ও তার প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে প্রতিষ্ঠান দুটো। ফলে, মানবাধিকার রক্ষার নামে এই প্রতিষ্ঠান দুটোর কার্যক্রম আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হলো। এর আগে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে পৃষ্টপোষকদের মর্জি অনুযায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা যুদ্ধে নামার অভিযোগ উঠেছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিরুদ্ধে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের সুশীল সমাজের মধ্য থেকেই তখন এই অভিযোগ তোলা হয়েছিল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের বিরুদ্ধে অধ্যাপক আল নোয়াইমীর সাথে সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, দীর্ঘ সময় ধরেই অধ্যাপক আল নোয়াইমী প্রতিমাসে কমপক্ষে ২ মিলিয়ন ডলার আল কায়েদাসহ আরও কয়েকটি জঙ্গীগোষ্ঠীকে সরবরাহ করে আসছেন। তিনি মূলত জঙ্গীগোষ্ঠী ও জঙ্গীদের অর্থায়নকারী কাতারের ধনকুবেরদের মধ্যে মধ্যস্ততার কাজ করেন। এ প্রসঙ্গে মার্কিন সরকারের মুখপাত্র ডেভিড কোহেন বলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যের সরকারগুলোর সাথে কাজ করছি। এবং অধ্যাপক আল নোয়াইমী ও তার প্রতিষ্ঠানের মতো দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে জঙ্গীদের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নতুনদিন

মন্তব্য করুন


 

Link copied