আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

নীলফামারীতে করোনায় পূজার কেনাকাটায় ভাটা

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০, বিকাল ০৬:৫৫

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ শারদীয় দূর্গা উৎসব। সে উৎসবে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারে থাকে কেনাকাটার ধুম। চাই নতুন জামা-কাপড়, শাড়ির ও প্রসাধনী। উৎসবের আমেজের এমন চাহিদায় জমজমাট ক্রেতার ভীর জমতো বিপণী বিতানে। কিন্তু এবার করোনার প্রভাবে নীলফামারীতে নেই সে আমেজ। আজ বৃহস্পতিবার(২২ অক্টোবর/২০২০) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন দোকার ঘুরে দেখা এমন মন্দাভাব। ব্যবস্তার মধ্যে পার হওয়ার সময়টাতে ক্রেতাশূণ্যতায় অলস সময় পার করছেন দোকানের মালিক ও কর্মচারী। এসময় জেলা শহরের বড় মসজিদ সড়কের কাপড় ব্যবসায়ী সততা স্টোরের মালিক আসাদুল ইসলাম বলেন,“পূজায় অন্যান্য বছর যে পরিমান কাপড় বিক্রি হতো তার এক ভাগও বিক্রি হচ্ছে না এবার। করোনার কারণে মানুষের যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকির ভয় আছে, তেমনি অর্থনৈতিক মন্দাও রয়েছে। করোনা ঝুঁকির কারণে অনেকেই নতুন জামা-কাপড় সহ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেছেন অনলাইন মার্কেট থেকে।” একই সুরে কথা বলছেন ক্রেতারা। করোনা ঝুঁকি আর অর্থনৈতিক মন্দায় পূঁজায় তেমন কেনাকাটার আনন্দ। জেলা শহরের বাবুপাড়ার মৃদুল মজুমদার (৪৫) বলেন, “করোনায় আয়-রোজগার কমেছে। সামর্থ না থাকায় পূজায় কেনাকাটা কমেছে।” তিনি বলেন,“অন্যান্য বছরের তুলনায় আমি এবার অর্ধেক কেনাকাটা করেছি। আমার মতো অবস্থা অনেকেরই। আবার অনেকেই করোনার কারণে পূজার কেনাকাটা করেছেন অনলাইন মার্কেটে।” একই এলাকার লীনা দে (৪৭) বলেন,“পূজা আসলে নতুন জামা-কাপড় কেনার একটা তাগিদ থাকতো। অন্যান্য বছর এ সময়টাতে বাজারে বিভিন্ন দোকান ঘুরে পছন্দের কাপড় কিনতাম। কিন্তু এবার কারোনা ঝুঁকির কারণে বাজারে না গিয়ে অনলাইন মার্কেটে কেনাকাটা করেছি।” জেলায় এবার ৮৪১ মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দূর্গা পূজা। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে উৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছে এসব মন্ডপে। জেলা প্রশাসনের সূত্রমতে, নীলফামারী ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভা এলাকায় দুর্গাপূজা হচ্ছে ৮৪১টি মন্ডপে। সদরে ২৭৩, ডোমার উপজেলায় ৯৮, ডিমলা উপজেলায় ৭৫, জলঢাকা উপজেলায় ১৭৫, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা ১৪১, সৈয়দপুর উপজেলায় ৭৯টি মন্ডপ রয়েছে। এসব মন্ডপের পূজার খরচ নির্বাহের জন্য প্রতিটিতে ৫০০ কেজি করে মোট ৪২২ দশমিক ৫ মেট্রিকটন ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই বরাদ্দ উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মেনে পূজা আয়োজনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপ্পী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক নির্দেশনা মেনে এবারে স্বল্প পরিসরে পূজা উদযাপিত হবে। এ কারণে জাকজমক পরিবেশে পূজা উদযাপন হবে না।

মন্তব্য করুন


 

Link copied