আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরের আলু যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে       গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!       চার ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

রংপুরে দুই ধর্ষকের আদালতে স্বীকারোক্তি; ঘটনার বর্ণনা দিল ছাত্রী

বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০, বিকাল ০৬:৪৮

মমিনুল ইসলাম রিপন: রংপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার বিকেলে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে তারা জবানবন্দি দেন। এর আগে একই আদালতে ধর্ষিতার ২২ ধারা মতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের শনাক্ত করে আদালতে ঘটনার বিবরণ প্রদান করেন ধর্ষিতা ছাত্রী। এদিকে ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত এএসআই রায়হানকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে রংপুরে নাগরকি সমাজ। দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমশিনার আব্দুলাহ আল ফারুকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়। রায়হানের বিষয়ে খুব দ্রæত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়েছে পিবিআই পুলিশ সুপার। স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাট সদরের পূর্ব মাজাপাড়া এলাকার করি মাহমুদের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৮) এবং পূর্ব থানা পাড়ার মৃত কাচু মিয়াার ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)কে গ্রেফতার করে পিবিআই। রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার ময়নাকুঠি কচুটারিতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। প্রেমের সূত্র ধরে গত শুক্রবার ওই ছাত্রীকে ক্যাদারের পুল এলাকার ডা. শহিদুলাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়াার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ কওে এসএসআই রায়হানুল। পরে গত রোববার ভাড়াটিয়া মেঘলা ওরফে আলেয়া ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার দিন ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মেঘলা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে আরেক সহযোগী সুরভিকেও আটক করা হয়। আটক মেঘলা ও সুরভি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি না দেয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদেও জেল হাজাতে পাঠানো হয়। এদিকে বুধবার বিকেলে বাবুল ও আজাদ আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার কওে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দু'জনের নাম ‍উলেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে ওই রাতে অসুস্থ ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করায় পুলিশ। সোমবার মামলাটি হারাগাছ থানা থেকে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। এদিকে রায়হানকে গ্রেফতার ও তার শাস্তির দাবিতে নাগরিক সমাজের ব্যানারে পুলিশকে স্বারক লিপি দেয়া হয়। রংপুর মহানগর সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলনে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের হাতে যদি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলে নারীদের নিরাপত্তা কোথায়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে রায়হাসকে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান। পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, দুই আসামী আদালতে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তাই তাদেও জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রায়হানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়ে জবান বন্দি ও অন্যান্য আসামীদেও স্বীকারোক্তির কপি দেখার পর রায়হানকে গ্রেফতার দেখানো হবে। তবে তা খুব দ্রæত করা হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন


 

Link copied