আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি       শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল      

 width=
 

সরকারি অবরোধেরও মেয়াদ বাড়ল

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩, সকাল ০৯:৪৩

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তা বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে মোট ২৭ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালনের পর ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’র ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এতে অংশ নিতে ঢাকার বাইরে থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যাতে ঢাকায় আসতে না পারে, সে জন্য সরকারের অলিখিত নির্দেশে শুক্রবার দুপুরের পর ঢাকামুখী দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ ও রেল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শনিবার ও গতকাল রবিবার ঢাকার ভেতরে ও বাইরে যান চলাচল তেমন ছিল না। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো গাড়ি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বলেছিল, রবিবার সন্ধ্যা থেকে সব কিছু আগের মতোই চলবে। তাদের ধারণা ছিল না যে খালেদা জিয়া রবিবার ব্যর্থ হয়ে সোমবার (আজ) একই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেবেন। বিরোধীদলীয় নেতার আচমকা এ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে আগের তিন দিনের মতো সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখার কৌশল নিয়েছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকপক্ষ। সরকারের অলিখিত জরুরি বার্তা তাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে বলে জানা গেছে।
রাজধানীর সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালের শ্রমিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার গতকাল রোববার বিকেলে বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যা থেকে গাড়ি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু এখন জানতে পারলাম, সোমবারও গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে।’
ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব কে এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘দেশের যে অবস্থা, তাতে সোমবারও গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। রাস্তায় গাড়ি বের করলেই পোড়ানো হচ্ছে। আমরা কী করব?’
পরিবহন মালিকদের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সোমবারও গাড়ি বন্ধ রাখার ব্যাপারে সরকার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন মালিক সমিতিগুলো গতকাল বিকেলে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালসহ রাজধানীর প্রধান তিনটি বাস টার্মিনালের শ্রমিক নেতাদের তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ি বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অন্য জেলাগুলোর মালিক-শ্রমিক নেতাদেরও জানানো হয়েছে।
তিন দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল রবিবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকার আন্তজেলা বাস টার্মিনালগুলো থেকে বাস ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। রাতের বাসের টিকিটও সকাল থেকে বিক্রি শুরু হয়েছিল পরিবহন কাউন্টারগুলোতে। তিন দিন টার্মিনালে পড়ে থাকা গাড়িগুলো রাস্তার পাশে এনে কর্মচারীরা পরিষ্কার করে রেখেছিলেন। এরই মধ্যে গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত আসায় আবার সেগুলো টার্মিনালের ভেতরে নিয়ে রাখা হয়েছে।
গাবতলী বাস টার্মিনালের হানিফ পরিবহনের একটি বাসের হেলপার কামাল বলেন, সরকারি দল আর বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে তাঁদের দৈন্যদশায় পড়তে হয়েছে। বিরোধী দল ছুটির দিনগুলো বাদে টানা ২৪ দিন অবরোধ করল। এখন সরকারি দল অবরোধ করছে। ফলে তাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বেতন খুবই কম। ট্রিপপ্রতি নির্দিষ্ট হারে আমাদের টাকা দেওয়া হয়। দুই দলের ক্ষমতার লড়াইয়ে পুরো দেশটাই জিম্মি হয়ে পড়ছে।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied