গত ৫ দিন পর সোমবার এ অঞ্চলে কিছুটা সূর্য্যরে মুখ দেখা দেখা গেলেও শীতের প্রকটতা কমেনি। এদিকে শৈত্যপ্রবাহ এবং প্রকট শীতের কারনে রংপুর বিভাগের আট জেলার সিভিল সার্জন অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে সোমবার রংপুর বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা রবিবার সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপর দিকে সোমবার ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ভাবে রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলায় তাপমাত্রা কমছে। ফলে শীত নিজের রেকড নিজেই ভাঙ্গছে প্রতিদিন।
এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে বাড়ছে শিশুদের জ্বর সর্দি,নিউমোনিয়া ও কোল্ড ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগ। খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন তাপিয়ে দিন কাটছে অসহায় মানুষ জনের । দিনের বেলায় যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।
সোমবার বিকালে রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ শাহাদাৎ হোসেনের সাথে টেলিফোনে কথা বললে তিনি জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলার নীলফামারী,পঞ্চগড়,ঠাকুরগাঁও,দিনাজপুর,রংপুর,কুড়িগ্রাম,লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌর এলাকায় সাধারন মানুষজনের শীতজনিতরোগের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা প্রদান সহ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে একাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ছড়িয়ে পড়ছে শীত জনিত নিউমোনিয়া ,ক্লোড ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ। তাৎক্ষনিকভাবে শীতের রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কো মানুষজনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে আট জেলায় উক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে ।
এদিকে আবার নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনের পক্ষে প্রকট শীতের কারনে জেলা দুটির সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ ¯েœহ কান্তি চাকমা ও কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ লোকমান হাকিম নিশ্চিত করেন।