আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

বছরজুড়ে ৮৪৮টি রাজনৈতিক সংঘাতে নিহত ৫০৭

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, দুপুর ০৩:০১

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক) এর ২০১৩ সালের 'বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি' বিষয়ক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ সব তথ্য দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থার তথ্য কর্মকর্তা আবু আহম্মেদ ফয়জুল কবির। উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান, উপপরিচালক টিপু সুলতান, সানাইয়া ফাহিম আনসারী, মিনা গোস্বামী।

সাধারণ মানুষের আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরে আসক এর মানবাধিকারবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮ দলীয় জোটের সরকারবিরোধী লাগাতার হরতাল-অবরোধে সৃষ্ট তাণ্ডব ভয়ানক রূপ ধারণ করে। বিভিন্ন যানবাহনে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের কারণে এবং বোমা বানাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যালসহ দেশের ৭টি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ৯৭ জনের মধ্যে ২৫ জন মারা যান। ২৫ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দিন থেকে এ পর্যন্ত ১৮ দলীয় জোটের ডাকে লাগাতার রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের সময় ৭৫ জন এবং ১০-১৩ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লার দণ্ডাদেশ কার্যকর করা নিয়ে সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জন নিহত হয়।

এতে বলা হয়, এ সময়কালে দেশের প্রায় ৫০টি জেলাতে সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও সবচেয়ে বেশি সহিংস পরিস্থিতি ছিল সাতক্ষীরায়। জামায়াত-শিবিরের ভয়াবহ তাণ্ডবে সারা দেশ থেকে এ জেলা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা খুঁজে খুঁজে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও হিন্দুদের বাড়িঘরসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এবং আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১১ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতনসহ তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সহিংসতা মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর এ অভিযান চলাকালে যৌথ বাহিনীর গুলিতে পাঁচজন নিহত হন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায়কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতন; বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন দেওয়া এবং প্রতিমা ভাঙচুরসহ লুটপাট, চাঁদাবাজি, শারীরিক নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা ঘটে। যার অধিকাংশ ঘটেছে ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠী ও জামায়াত-শিবিরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মদদে। এ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৭৮টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, ২০৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর এবং মন্দির-উপাসনালয় ও প্রতিমা ভাঙচুরের ৪৯৫টি ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সংখ্যালঘু আহমদিয়া মুসলিম জামায়াতের ওপরও হামলা-নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটে। মৌলবাদী তাণ্ডব প্রসঙ্গে আসক এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় নিহত হন ৮২ জন। এ সময়কালের মধ্যে ২৫টি উপজেলার ৩৫টি সরকারি দপ্তর ও ১০টি সরকারি গাড়ি ভাঙচুরসহ ও আগুন দেওয়া হয় এবং মহাসড়কের পাশে প্রায় ৩০ হাজার বড় বড় গাছসহ বিভিন্ন স্থানের রাস্তা কাটা হয়। ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ডাকে ঢাকা অবরোধ এবং পরে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশকে ঘিরে ওই দিন দপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংসতায় একজন পুলিশসহ মোট ২২ জন নিহত হয়। মতিঝিলের সমাবেশে অংশ নিতে আসার পথে হেফাজতকর্মীরা মতিঝিল, পল্টন ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতের কর্মীরা। পুরানা পল্টন এলাকায় সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, হাউজ বিল্ডিং ভবন, জনতা ব্যাংকসহ বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের বুথ এবং মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। কোরআন শরীফে আগুন দেওয়াসহ পল্টন-গুলিস্তানের ফুটপাতের দোকানগুলোতে আগুন লাগানোর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে যায়। প্রতিবেদনে বছরব্যাপী মৌলবাদী হামলা ও সহিংসতার বিস্তারিত খতিয়ানও তুলে ধরা হয়েছে।

সবশেষ রাজনৈতিক সহিংসতা প্রসঙ্গে এতে বলা হয়, গত ২৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের ডাকা 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' কর্মসূচির সমর্থনে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের একাংশের সমাবেশে এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিরোধী দল সমর্থিত আইনজীবীদের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা দফায় দফায় হামলা করে। সরকার সমর্থিত বহিরাগত লোকজন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে নারী আইনজীবীসহ অন্যদেরকে বেধড়ক মারপিট করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশও এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের সবচেয়ে বিপর্যয়কর ঘটনা হচ্ছে সাভারের 'রানা প্লাজা' ভবন ধসে সহস্রাধিক শ্রমিক নিহত এবং অসংখ্য শ্রমিক আহত ও চিরতরে পঙ্গু হওয়ার ঘটনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ ও তাদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত-সমালোচিত হয়। তা ছাড়া এ বছরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের রায়ে এক সাথে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণা স্মরণাতীতকালের নজিরবিহীন ঘটনা। অন্যদিকে, বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার রায়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত এ বছরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো নিরপরাধ কিশোর লিমনের বিরুদ্ধে র‍্যাবের দায়ের করা দুটি মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

গুম ও গুপ্তহত্যার বিষয়ে আসক এর প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৩ সালে এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন মোট ৫৩ জন। এর মধ্যে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে, তিনজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে মাত্র দুজন মুক্তি পেয়েছেন এবং বাকিদের এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি। অধিকাংশ গুম ও গুপ্তহত্যার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও মৃত্যুর ঘটনা অব্যাহত ছিল। ২০১৩ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মোট ৭২ জন। এর মধ্যে র‍্যাবের ক্রসফায়ারে ২৪ জন, পুলিশের ক্রসফায়ারে ১৭ জন, বিজিবির ক্রসফায়ারে একজন, পুলিশ হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনে ২৬ জন এবং র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ নির্যাতনে একজনের মৃত্যু হয়।

সাংবাদিক নির্যাতন প্রসঙ্গে এতে বলা হয়, ২০১৩ সালের রাজনৈতিক সহিংসতার অন্যতম শিকার হন গণমাধ্যমের কর্মীরা। বিভিন্ন সময় খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সরকার ও বিরোধী দলের রোষানলে পড়েন এবং হত্যা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হন। গত বছরের বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ নিয়ে সাংবাদিক সমাজ বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক নির্যাতনের ওপর প্রকাশিত খবরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছরে তিনজন সাংবাদিক নিহত হন এবং অন্তত ২৮০ জন সংবাদকর্মী বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জনের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হন।

নারী নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরেও নারী উত্ত্যক্তকরণ, সালিশের নামে ফতোয়া, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন ও গৃহকর্মী নির্যাতনসহ নারী নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটে। দেশের নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অব্যাহত আন্দোলনের কারণে নারী নির্যাতনের অনেক ঘটনার ক্ষেত্রে মামলা হলেও মূলত বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার ফলে ঘটনার সংখ্যা ও ভয়াবহতা কমছে না। ২০১৩ এর শুরুর দিকে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ও এর ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে আলোচিত হয় এবং এ বিষয়ে দেশব্যাপী নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবাদসহ বিভিন্ন আন্দোলন-কর্মসূচি অব্যাহত থাকে। ২০১৩ সালে মোট ৮১২ জন নারী ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হন। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী সময়ে ৮৭ জনকে হত্যা করা হয় এবং আত্মহত্যা করেন ১৪ জন।

এ ছাড়া এ বছরে ভারতের সীমান্ত প্রহরী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন অনেক নিরীহ নাগরিক। ২০১৩ সালে সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতনসহ মোট ৩৩৫টি ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছেন ২৬ জন, শারীরিক নির্যাতনে আহত হয়েছেন ৮৪ জন এবং সীমান্ত থেকে অপহরণের শিকার হয়েছেন ১৭৫ জন। সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। ক্ষমতাসীন সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও ক্ষুদ্রজাতিগোষ্ঠি 'আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি' এখনো মেলেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াও কার্যত থেমে আছে এবং পার্বত্য ভূমি কমিশনের কার্যক্রমও গতিশীল হচ্ছে না। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থানরত বাঙালিদের দ্বারা আদিবাসীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে বাধাপ্রদান, নারী ও শিশুদের ওপর যৌন হয়রানি, ভূমি দখল ও উচ্ছেদসহ নির্যাতনের অনেক অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের বড় একটি ঘটনা হচ্ছে- ৩ আগস্ট খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দংয়ে আদিবাসী পাহাড়িদের প্রায় শতাধিক বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা। এ ঘটনায় আদিবাসী ১৬২টি পরিবার উদ্বাস্তু হয়ে গভীর জঙ্গলে ও ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেয়। পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied