আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

সাদুল্যাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার খুররম এর বিরূদ্ধে যত অভিযোগ

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১২, রাত ০৯:৫৫

জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ, সাদুল্যাপুর ॥ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানার সেকে- অফিসার এস আই মোহাম্মদ খুররমের বিরুদ্ধে এলাকার নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে বিনা অপরাধে আটক, মিথ্যা মামলায় আসামী করে হয়রানী ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এস আই মোহাম্মদ খুররম গত সাত মাস আগে থানায় যোগদানের পর থেকে দাপটের সাথে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন অনিয়মে। উপজেলার বিভিন্ন স্পটের মাদক ব্যবসা, চোরাচালান ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত গড ফাদারদের সঙ্গে গড়ে তোলেন সখ্যতা। এসব গড ফাদারদের নিকট তিনি প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকা দিতে না পারলে ওই সকল স্পটে তিনি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। অবশ্য তিনি মাদক ও প্রতারণার মূলক বেশ কয়েকটা ঘটনার অভিযানে সফলও হয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, এস আই খুররম সম্প্রতি পলাশবাড়ী উপজেলার সারোয়ার হোসেন বিপ্লব (৩০) নামের এক যুবককে ঢোলভাঙ্গা থেকে রাত ১০ টার দিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ৩ ঘণ্টা ওই যুবক থানার হাজতে থাকার পর রাত ১ টার সময় থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা ওয়ারেন্ট ছিলনা। গত ১৫ ডিসেম্বর এস আই খুররমের খামখেয়ালী পনার কারণে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর বাজার থেকে বিকালে মো. ছামছুল ইসলাম নামের (৫৮) বছরের এক বৃদ্ধাকে আটক করে থানায় আনেন। কোন প্রকার মামলার আসামী না হয়েও ওই বৃদ্ধাকে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা হাজত বাস করতে হয়েছে। পরে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর চাপের মুখে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগের দিন ১৪ ডিসেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই খুররমের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার মীরপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে আমিনুল ইসলাম (৪০) নামের এক গাঁজা ব্যবসায়ীকে গাঁজার গাছসহ আটক করেন। এ নিয়ে এস আই তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক মাদক ব্যবসায়ীসহ ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা তদন্তের জন্য এস আই খুররমের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ওই মামলায় পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার একবারপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন বারী ম-লকে ৫ নাম্বার আসামী করা হয়। এজাহারে উল্লেখ্য রয়েছে, বারী ম-ল মীরপুরে নিজ জমিতে গাঁজার চাষ, গাঁজার ব্যবসা ও সেবনের ব্যবস্থা করে থাকেন। ওই জমি বারী ম-লের দেখিয়ে তাকে মিথ্যা ভাবে আসামী করা হয়। খোঁজ ও সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায়, বারী ম-লের ঘটনাস্থল বা তার আশপাশের এলাকায় কোন নিজস্ব, বন্ধকী বা লিজ নেওয়া জমি নেই। তিনি একজন সাধারণ ধান, পাট, চালের ব্যবসায়ী মাত্র। এছাড়া তিনি মিঠিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দুই বার ইউপি সদস্যর দায়িত্ব পালন করেন। অথচ এস আই খুররম কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই মনগড়া ভাবে তাকে ওই মামলায় আসামী করেন। ঘটনার তিন দিন আগে এস আই খুররম অভিযানের নামে মীরপুর চৌমাথা থেকে একটি মহেন্দ্র ও দুটি মোটরসাইকেল আটক করেন। এ সময় তিনি মহেন্দ্র চালক ও মোটরসাইকেল মালিককে মামলার জড়ানোর হুমকি দেন। পরে জনৈক একটি চার দোকানে বসে মহেন্দ্র চালকের নিকট ১১০০ টাকা ও মোটরসাইকেল চালকের নিকট থেকে ৬০০ টাকা উৎকোচ আদায় করে তাদের ছেড়ে দেন।

এসআই খুররমের দাপটের কাছে থানার অনেক পুলিশেই বিরক্ত হলেও সবাই প্রায় বোবা হয়ে রয়েছেন। তার কর্মকান্ডে পুলিশ সদস্যরা এলাকার মানুষের কাছে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও এস আই খুররমের বিরুদ্ধে দিনের বেলায় ডিউটি পালনে অবহেলা, রাতের বেলা ডিউটি পালনে বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষকে পথরোধ করে তল্লাসি ও জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানী, কোন কারণ ছাড়াই বিভিন্ন ধরণের যানবাহন আটক করে উৎকোচ আদায়, রাতের বেলা থানায় অফিসে বসে টেবিলের উপর ল্যাপটপ, হাতে সিগারেট ও কানে হেড ফোন ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। খুররমের এহেন কর্মকান্ডে উপজেলার সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করীম রেজা বলেন, একজন পুলিশ অফিসারে এমন হঠকারিতা ও আচরণের কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। অপরদিকে জনগণও সম্মানহানিসহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একজন পুলিশ সঠিক দায়িত্ব পালন করুক এটাই জনগণের প্রত্যাশা।

ফরিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আজম মন্ডল

সেকেন্ড অফিসার এস আই খুররমের বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপার জানতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাজ করলে অভিযোগ থাকবে। তাছাড়া কাউকে বিনা অপরাধে আটক ও মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়নি। অপরাধ যারা করেন তারা অবশ্যই আইনের মধ্যে পড়বেন। তবে তিনি ক্ষমতা অপব্যবহার ও উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied