বিপত্তি দেখা দিয়েছে ছিন্নমূল মানুষ ও গবাদি পশুর বেলায়। সরকার এবং স্বাবলম্বী জনগোষ্ঠী প্রতিবছর শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে অসহায় মানুষের দিকে হাত বাড়িয়ে থাকে। পর্যাপ্ত না হলেও তা অনেকটাই সহায়ক হয়ে ওঠে। কিন্তু এবার রাজনৈতিক টানাপড়েন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং স্বাবলম্বী মানুষের দৃষ্টি এখন রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে।
উত্তরজনপদের রংপুর বিভাগের আট জেলার শীতপ্রবণ এলাকাগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে ঢাকা থেকে শীতবস্ত্র এসে পৌঁছতে পারছেনা। রাজনৈতিক কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকায় সরকারিভাবে এবং বেসরকারিভাবে এই অঞ্চলের অসহায় মানুষদের কাছে শীতবস্ত্র আসছে বলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। শীতে আক্রান্ত বিশাল জনগোষ্ঠীর কথা ভুলে না যায় এবং সময়মতো যার যার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে। শীতের তীব্রতায় গবাদি পশু, শস্য ও কৃষক নিজে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে জাতীয় অর্থনীতির ওপর তা চাপ ফেলবে এবং দেশের মানবিক মূল্যবোধ প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
প্রবাদ রয়েছে “মাঘের শীত বাঘ কাঁপে” কিন্তু জলবায়ু আর পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে পৌষের শীতেই উত্তরজনপদ কাঁপছে। শীতের প্রবণতা বৃদ্ধিতে সর্বস্তরের মানুষের জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। প্রতিদিন প্রচন্ড কুয়াশায় আবৃত চলমান জীবনযাত্রায় যেমন বাধার সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের কর্মকান্ডে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের বাধা বিঘœ।
শৈত্যপ্রবাহ ও পৌষের প্রচন্ড শীতের প্রকোপে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দিসহ শিশুদের নিউমোনিয়া। ফলে শহর-শহরতলীসহ গ্রামীণ অঞ্চলে এসব রোগবালাইর প্রকোপ ছাড়াও ক্লোড ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতাল গুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে কড়া নজরদারি চলছে। খোলা হয়েছে এ অঞ্চলের জেলা গুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে কন্ট্রোল রুম।
রংপুর বিভাগের পুরো নীলফামারী,পঞ্চগড়,ঠাকুরগাঁও,দিনাজপুর,রংপুর,লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় শীতের প্রকোপ তীব্রভাবে বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে চলছে ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে মানুষ বাইরে বের হতে পারছে না।
যাদের হাঁপানি, অ্যাজমা রয়েছে তারা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। বুকে শ্বাসকষ্টে, শ্বাস নেয়ার সময় শব্দ, সর্দি বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছে শিশুরা। ফলে দুশ্চিতায় পড়েছেন অভিভাবকরা।# কুয়াশায় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পলেথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে ইরি বোরোর বীজতলা।