আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

মা, এ দেশ তোমার নয়! তুমি সংখ্যালঘু!!

বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৪, বিকাল ০৬:৫৫

টিভি দেখার সুযোগ আমার কম। যতটুকু সুযোগ আছে, দেখার ইচ্ছে তার চেয়েও কম। তবু নির্বাচনের আগের কিছুদিন নিয়মিত টিভি দেখা হয়েছে। সেখানে নতুন করে দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে একটি বিজ্ঞাপনের প্রতি। বিজ্ঞাপনটি নির্বাচন কমিশনের। ভোট না দেয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বিরোধী পক্ষের গুন্ডা বাহিনী। কিন্তু কেউই ভয় পেলো না। বুড়ি মাসীমা বলে দিলেন, ভয় তিনি পান না। এক ছেলেকে হারিয়েছেন, তবু ভোট দিতে যাবেন তিনি। কারণ তার নিরাপত্তা দিবে সরকার। এবার ১৮ বছর বয়সে পা দেয়া হিন্দু মেয়েটিও ভয় না পেয়ে বলে দিল ভোট দিতে সে যাবেই। এসব চটকদার বিজ্ঞাপনে দেশের মানুষের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা যায় বোধহয়। বুঝানো যায়, এই দেশের মানুষ কত সাহসী!! কিন্তু বাস্তবতা তো ভিন্ন। বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। যে দলটি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি, আর যে দলের জন্ম ক্যান্টনমেন্টে তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র আশা করাও পাপ। আমরা যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ চাই। আমরা সংসদে কোন যুদ্ধাপরাধী বা তার দোসররকে দেখতে চাই না। ক্ষমতায় আসলে তারা জঙ্গি আস্তানা বানাবে, যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে দিবে, হিন্দুদের উপর নির্যাতন চালাবে এ সব তো জানা কথাই। কিন্তু এখন তো তারা ক্ষমতায় আসেনি। যখন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছিল তখনো তারা ক্ষমতায় ছিল না। তবে?? যতদূর জানি, দেশ নামক যে শব্দটা আছে তার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত এখনো জলপাই রঙের বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে সারাদেশে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী…কিন্তু কোথায় সেই নিরাপত্তা? ভোটারদের নিরাপত্তা যদি না-ই থাকে তবে কিসের জন্য এত চটকদার বিজ্ঞাপন? আর কাদের জন্য নির্বাচন?? তবে কি সাহারা খাতুনের মতোই আবারো বলবেন, কারো বেডরুমের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়? একটু স্পেসিফিকেলি বলবেন ঠিক কোথায় কোথায় আপনারা নিরাপত্তা দিতে পারবেন? তাহলে বাকিটুকু না হয় আমরা নিজেদের গরজে ব্যবস্থা করে নিবো। অন্তত মিথ্যে প্রলোভনে বেঁচে থেকে মরতে হবে না আমাদের। সরকারের বিপক্ষে কিছু বললে নাকি বিএনপি জামায়াত শক্তিশালী হয়ে যায়। তাই কিছু বলা যাবে না। বলা মানে হবে আমি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি! ঘর পুড়ে গেলে বলতে হবে বিএনপি জামায়াত আগুন দিয়েছে, এইটুকুই। কিন্তু বলা যাবে না, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমার নিরাপত্তা কই?? সংখ্যালঘু নামক যে ইতর প্রজাতির শব্দের ভেতর আমরা বন্দী হয়ে গেছি, সেই কীটপতঙ্গদের কোন অধিকার নেই বিচার চাওয়ার। দাবা খেলায় রাজা, মন্ত্রী, হাতিঘোড়াদের বাঁচাতে প্রায়ই একটা সৈন্যকে সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়। ভোট নামক খেলায় আমরা সেই গুটি মাত্র। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, বিএনপি জামায়াতকে প্রতিহতের জন্য এই নির্বাচনের প্রয়োজন ছিল সবই মানছি। কিন্তু নির্বাচনকে ঘিরে জালভোটের যে মহোৎসব দেখা গেল, আর তাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে উদাসীনতা দেখলাম তা তো গ্রহণযোগ্য নয়। নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির জন্য রাজাকারকে আওয়ামী লীগের আসন ছেড়ে দেয়া, এলাকার মানুষ ভালো করে চিনেই না এমন কাউকে এমপি বানাতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার এসবকিছুর পরেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এমন জয়জয়কার হতাশ করে দেয়। করুণা হয় আমার মায়ের জন্য, সাঈদীর রায়ের পর দেশের অবস্থা ভয়ঙ্কর খারাপ হয়ে যাওয়ার পরে মাকে যখন বলেছিলাম ইন্ডিয়া যাওয়ার কথা, শান্তশিষ্ট নিরীহ মা আমার কেমন রেগে বলেছিল, মরতে হলে এখানেই মরবো!! ভাবছি এবার বাড়ি গিয়ে মাকে কিভাবে বলি…মা, এ দেশ তোমার নয়! তুমি সংখ্যালঘু!!

মন্তব্য করুন


 

Link copied