আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

নয়া কৌশলে এগুচ্ছেন তারেক

শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৪, বিকাল ০৫:৫১

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সম্পাদক পর্যায়ের এক আইনজীবী নেতা এসব তথ্য  জানিয়ে বলেন, তারেক রহমান নতুন একটি ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ তৈরি করছেন। এই ওয়ার্কিং গ্রুপ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে আবার নির্বাচন দেওয়া, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা, নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারেক রহমানকে সহায়তা করবে।
সম্প্রতি লন্ডন ঘুরে আসা এই নেতা জানান, এ জন্য থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় নতুন অফিস নেওয়ার কাজ চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি বা দুটি অফিসের কাজও শেষ হবে। তিনি আরো জানান, বিএনপির শুভাকাক্সক্ষী মেধাবী তরুণ, যাঁরা একসময় ছাত্রদল বা বিএনপির কোনো পর্যায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদেরই এসব অফিসে বসানো হবে। তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে না পারলেও তাঁর ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই মেধাবী তরুণদের এনে ওই অফিসগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হবে।
এদিকে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যেসব নেতা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে দলের ক্ষতি করছেন এবং আন্দোলন বেগবান করতে দিচ্ছেন না, তাঁদের সম্পর্কে তিনি খোঁজখবর নিয়েছেন। এঁদের বিষয়ে নিয়মিত তথ্য জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেশে থাকা কয়েকজন নেতাকে। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমানের হয়ে কাজ করতেও কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কর্মকর্তা নাকি দলের কোনো নেতা, তা নিশ্চিত করতে পারেনি সূত্র। খুব দ্রুত তা জানা যাবে বলে সূত্রটি জানায়।
দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতার ওপর তারেকের আস্থা হারানোর প্রমাণ রয়েছে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক টেলিফোন কথোপকথনেও। কথোপকথনটি ছিল তারেক রহমান ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর। এতে তারেক রহমান স্পষ্টতই দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতাদের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সূত্র জানায়, তারেক রহমান দলের কর্মকাণ্ড নিজের হাতে নেওয়ার পর এসব ‘আস্থা হারানো’ নেতা আর দলের অগ্রভাগে থাকছেন না। ‘আঞ্চলিক নেতা’ হিসেবে পরিচিত দলের দুই সিনিয়র সদস্যকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দায়িত্ব দিতে পারেন তিনি।
‘তারেক রহমান সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে দলের নেতৃত্ব দেবেন’ কি না- এমন প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘তারেক রহমান আমাদের দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি সব সময় দলের হয়ে কাজ করেছেন। অসুস্থ থাকায় তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন। তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন এবং অবশ্যই দলের নেতৃত্ব দেবেন।’ কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন


 

Link copied