আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

লাগাতার হরতাল ও অবরোধ থেকে সরে আসছে বিএনপি

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৪, সকাল ০৯:৫৩

নতুন ধারায় সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙা করার কথা ভাবলেও আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপি ও জোটের শরিকদের মধ্যে মতভিন্নতাও দেখা যাচ্ছে। জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী চায় আন্দোলনে ঘুরে দাঁড়াতে ও নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে অবরোধের পাশাপাশি টানা কয়েক দিনের হরতাল ডাকতে। এমনকি ২০ জানুয়ারির মধ্যে এ কর্মসূচি পালনের কথাও বলছে তারা। বিএনপির একটি অংশ জামায়াতের এ অবস্থানের সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অন্য অংশের তাতে সায় নেই। তারা বলছে, কঠোর কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা হ্রাস পাওয়ায় আপাতত তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তারা জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর মতো কর্মসূচির পক্ষে। তবে এ অংশের নেতারা নতুন সরকার শক্ত অবস্থানে দাঁড়ানোর আগেই কঠোর কর্মসূচি দেয়ারও পক্ষে।

জোটের কয়েকজন নেতা বলেন, দশম সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে ১৮ দলের টানা কর্মসূচি তৃণমূলে বেশ ভালোই পালিত হয়েছে। তবে লাগাতার হরতাল ও অবরোধে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনেক নেতাকর্মীর মধ্যেও বিরক্তির জন্ম দিচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শক্তি যেমন সমালোচনা করছে, তেমনি বিরোধী জোটের অবরোধকে ঘিরে নাশকতারও সমালোচনা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রভাবশালী একাধিক দেশ সংঘাতের বিপক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ ধরনের কর্মসূচি থেকে সরে আসারও আহ্বান জানিয়েছে তারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, বিভিন্ন বন্ধুরাষ্ট্রের অনুরোধের পাশাপাশি তৃণমূল থেকেও টানা অবরোধ থেকে সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে ১৮ দলের কর্মসূচি থেকে সরে আসা নিয়ে এত সব কারণের পাশাপাশি জানা গেছে, মূলত চলতি মাসে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.), বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমা থাকায় লাগাতার কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মনে করা হচ্ছে, কর্মসূচি না থাকলে সরকার কঠোর অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থাকা নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়া নতুন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনারও সুযোগ পাবেন।

এদিকে ১৬ দিন পর বাসা থেকে বের হয়ে নিজের রাজনৈতিক কার্যা্লয়ে গিয়ে খালেদা জিয়া দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আন্দোলন কর্মসূচির ব্যাপারে আলোচনা করেন। অনির্দিষ্টকালের অবরোধ স্থগিতের মধ্যেই দল ও জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে খালেদা জিয়া নতুন কর্মসূচি ঠিক করতে পারেন বলেও জানা গেছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার যেহেতু গঠিত হয়ে গেছে, তাই নতুন করে কর্মসূচির চিন্তা করা হচ্ছে দল ও জোটে।

বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য ও সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন ও দাতা সংস্থার পক্ষ থেকে চাপ দেয়া হতে পারে, এমন আশ্বাস পাওয়া গেছে। তাই কর্মসূচির পাশাপাশি সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের দিকে নজর দিচ্ছে বিএনপি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের মজলিশে শূরার একজন সদস্য বলেন, “আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জামায়াত। কারণ এই মুহূর্তে বিরতি দেয়া হলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনে রাখা কঠিন হবে।” আন্দোলন নিয়ে বিএনপির কিছু নেতা খালেদা জিয়াকে ‘মিসগাইড’ করেছেন, এমন দাবি করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, “এ কারণেই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ লাভ করেনি।” আগামী রোববার আবার কর্মসূচি শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।

আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমরা আন্দোলনে আছি। আন্দোলনেই থাকব। পরবর্তী কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।”

মন্তব্য করুন


 

Link copied