শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৪, রাত ০৮:০৫
অবশেষে জামায়াতে ইসলামকে নৈরাজ্য ও সহিংসতা থেকে সরে আসার আহবান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার রাতে ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত নেতাকে এ ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ার করে দেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছেও এ ব্যাপারে খালেদা জিয়া তার কঠোর মনোভাবেক কথা জানিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনের পর বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক হয় এবং ঐ বৈঠকেই রাষ্ট্রদূতরা রাজনীতিতে সহিংস কর্মকান্ডের কড়া সমালোচনা করেন। এর মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রদূতরা বেগম খালেদা জিয়াকে সহিংসতার ব্যাপারে তাদের কঠোর মনোভাবের কথা জানিয়ে দেন। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে খালেদা জিয়া জামায়াতকে পরিষ্কার ভাষায় বলে দিয়েছেন জোটে থেকে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই তান্ডব, নৈরাজ্য ও সহিংসতা ছাড়তে হবে। নেতাদের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আপনাদের কোন সহিংসতা বা তান্ডবের দায়ভার বিএনপি আর নিবে না।’ এদিকে, বুধবার হোটেল ওয়েস্টিনে জামায়াতের সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন করবেন কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান বিএনপি নেত্রী। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের কর্মপরিষদের একজন সদস্য বলেন, জোটগতভাবে আগামী কয়েকমাস রাজপথে কঠিন কোন কর্মসূচি আসছে না। তাই হয়তো খালেদা জিয়া এমন নির্দেশনা দিতে পারেন। গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে পরের দিন বিএনপি নেত্রীকে জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে সংলাপের বসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া আ’লীগের সিনিয়র কয়েকজন নেতা নির্বাচন পরিবর্তীতে বিভিন্ন সময় তাদের বক্তৃতায় বলেন, সহিংসতার ছেড়ে সংলাপে আসুন। না হয় এর দায়ে খালেদা জিয়াকে একদিন কাঠগড়ায় দাড়াঁতে হবে। সম্প্রতি দেশ ও বিদেশ থেকেও সহিংসতার পথ পরিহার করে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দিতে বিএনপি নেত্রীর প্রতি দাবি জানানো হয়। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অষ্ট্রলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের যে বৈঠক হয় সেখানেও বিএনপিকে সহিংসতার পথ পরিহার করতে বলা হয়।
মন্তব্য করুন
আলোচিত’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
মুক্তি পেয়েছেন জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক
একমাত্র মুসলিম দেশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ঈদ
যেভাবে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে ব্যাংক ম্যানেজারের
তাপপ্রবাহ চলবে আরও কয়েক দিন, শিলাবৃষ্টির আভাস
