আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

এরশাদের যত কষ্ট

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৪, দুপুর ১২:৩০

তিনি যে দলের হয়ে যান সে দলেই রাজনীতিতে বিশাল সুবিধা গ্রহণ করেন। আবার এর উল্টোটিও ঘটে। দল থেকে বের হয়ে হয়েও অন্য দলকে সুবিধা দেন, নিজে সুবিধা নেন। বলছি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের কথা, যে এরশাদ রাজনীতির খেলায় এক বুক কষ্ট নিয়ে পথ চলছেন। এরশাদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার খোয়াব দেখেছেন হর হমেশা। সে স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়েছে। নানান চাপে রাজনীতিতে বার বার সিদ্ধান্ত বদলিয়েছেন। যে কারণে ডিগবাজির তকমাও জুটেছে ভাগ্যে। নির্বাচনের আগে এরশাদকে নিয়ে দুই দল কানামাছি খেলেছে। এরশাদও কম খেলেননি। তবে খেলা যতই খেলুক বুকের ভেতর লুকানো ব্যাথা তাতে সাড়েনি একটুও, বরং বেড়েছে ক্রমাগত। তিনি এক সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নির্বাচনে যাবেন। পরে তা থেকে ডিগবাজি দিয়ে বললেন আমি নির্বাচনে যাবোনা। সাংবাদিকদের তিনি বললেন, আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেখান থেকে সরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এর বাইরে গেলে মরণ। আমি এই মত পরিবর্তন করতে পারবো না। তাহলে দেশের মানুষ আমাকে ক্ষমা করবে না। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয় সারা বিশ্বের মানুষ আমার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে আছে। তারা আমাকে ছেড়ে যাবে না। তাদের জীবনের চেয়েও বেশি আমাকে ভালোবাসে। ইদানীং দেশের যে পরিস্থিতি তাতে রাজনীতি করতে আর ভালো লাগে না। কিন্তু নেতাকর্মীদের ছেড়ে কোথায় যাব। এত সব কথার মধ্যে তার মনের ভেতর লুকানো ব্যথা সহজে অনুমেয়। যে দলের নেতা কর্মীদের ছেড়ে তিনি কোথাও যেতে চাননি সেই নেতা কর্মীরাই তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। সে দু:খও কম নয়। এরশাদের দু:খ অনেক আগে থেকেই। এরশাদ বলেন, আমার প্রতি সুবিচার করা হয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছি। তারা ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু বিনিময়ে আমি কিছুই পাইনি। আমি যা পেয়েছি তা হলো- আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে আমার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমার ওপর মামলা দেয়া হয়েছে। পাঁচ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে। মামলাগুলোর একটাও উইথড্রো করেনি। তিনি তার দুখের কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি মহাজোটে যোগ দিয়েছি, নির্বাচন হয়েছে। মহাজোট জয়লাভও করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি ৪৮টি সিট চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে ৩৬টি আসন দেয়া হয়েছিল। আমাকে ৪৮টি আসন দিলে ৪৮টিতেই জয়লাভ করতাম। বারবার আওয়ামী লীগের কাছে আমি বঞ্চিত হয়েছি। ১৯৯৫ সালে মঞ্জুহত্যা মামলা ১৪ বছর নয় মাস পর আবার চালু করা হয়েছে। শেষ হয়নি।’ তার দু:খের কথা এখানেই শেষ নয়। দু:খ করে তিনি বলেছেন,‘ইচ্ছাকৃতভাবেই আওয়ামী লীগ মামলা দিয়ে আমাকে নিয়ে খেলা করার চেষ্টা করছে। আমি কোর্টে গেলাম হাজিরা দিতে। কিন্তু এক মহিলা জাজ আমার গাড়ি বের করে দিয়ে তার গাড়ি রাখলেন। আমি সবদিক দিয়েই বঞ্চিত হয়েছি। এরশাদের কষ্ট বেড়ে চরমে পৌঁছে যায় যেদিন তিনি গ্রেফতার(?) হলেন। চোখের কোণে জল টলমল করেছে। নেতা কর্মীরা কান্নাও করেছেন। সবার অগচোরে থেকে তিনি নিজেকে সুস্থ্য বলে দাবি করেছেন। আসেননি মিডিয়ার সামনেও। নির্বাচনের পর সবার অগচোরে সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছেন মলিন মুখে। এককালের রাষ্ট্রপতি সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসাবে পেলেন মন্ত্রী পদমর্যাদার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদ।সে কষ্টও কম নয়। দিন দিন সে কষ্ট বাড়ছে। তারপরও অনেকেই ভাবছেন, যেদিন এরশাদ মুন খুলে তার স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতে সব খুলে বলতে পারবেন সেদিন হয়ত কিছুটা হলেও কমবে তার কষ্ট।

মন্তব্য করুন


 

Link copied