আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

গণজাগরণ মঞ্চের একবছর: ফেসবুক থেকে শাহবাগ, যাবজ্জীবন থেকে ফাঁসি

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, দুপুর ১১:৫৬

আবু বকর ইয়ামিন: ইতিহাসের হাত ধরে ৩৬৫টি দিন পাড়ি দিল গণজাগরণ মঞ্চ। আজ বুধবার এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গত বছরের এই দিনে রাজাকারদের বিচারের দাবিতে লাখো জনতার সম্মিলনে প্রতিষ্ঠিত হয় গণজাগরণ মঞ্চ। শুরু হয় রাজাকারবিরোধী ঐক্যবদ্ধ স্লোগান। তারই ধারাবাহিকতায় একটি বছর পার করল গণজাগরণ মঞ্চ। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রইব্যুনাল-২ জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এর বিরূদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি প্রতিবাদী সমাবেশের ইভেন্ট খোলে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওই দিন বিকেল তিনটায় রাজধানীর শাহবাগে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে জড়ো হন কিছু তরুণ। এতে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার বিরূদ্ধে ট্রাইব্যুনাল-২ এর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদ জানান তারা। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের ব্যানারে বিকাল চারটার পর এক সমাবেশ করেন তারা। এরপর সময় যত গড়িয়েছে এই তরুণদের সঙ্গে যোগ দেয় বিভিন্ন পেশার হাজারো জনতা। দাবি আদায়ে ওই দিন বিকেলে শাহবাগে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচি রাতে পরিণত হয় সড়ক অবরোধে। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে স্লোগান ওঠে লক্ষ কণ্ঠ। আন্দোলন শুরু হওয়ার চারদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি তরুণদের এ অবরোধ-অবস্থান ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ নাম ধারণ করে। মঞ্চের এ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় ট্রাইব্যুনালের আইন নিয়ে। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে আদালতের দণ্ডাদেশের পর আসামিপক্ষের আপিলের সুযোগ থাকলেও বাদী বা সরকারের আপিলের সুযোগ ছিল না। আইনের এ ‘মারাত্মক ত্রুটি’ ও ‘অসম সুযোগ’ পরিবর্তন করার দাবি জানায় গণজাগরণ মঞ্চ। রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি এ জন্য তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এরপর সরকারও এ আইন সংশোধনে উদ্যোগী হয়। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের সুযোগ রেখে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) সংশোধন বিল ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। এ আইন পাস হওয়ায় কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিমকোটের্র আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে (৪ : ১) আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দণ্ড দেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হচ্ছেন, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। আপিলের রায় ঘোষণার দুই মাস আট দিন পর গত ২৪ নভেম্বর রায় লেখা শেষ করেন আপিল বিভাগ। গত ৫ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর আবদুল কাদের মোল্লাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। গণজাগরণ মঞ্চের এক বছরের ধারাবাহিক কর্মসূচির চিত্র-

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ে অসস্তোষ প্রকাশ করে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক- এর আহবানে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ। ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : রাজধানীর শাহাবাগে যে স্ফূলিঙ্গ তৈরি হয়, তা দাবানল আকারে ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : শাহাবাগে তারুণ্যের তীব্র গণ-আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান মহাজোটের সংসদ সদস্যরা। এ দিন আন্দোলনের সাংগঠনিক নাম দেওয়া হয় ‘গণজাগরণ মঞ্চ’। ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : বিকেল তিনটায় শুরু হয় লাখো মানুষের সমাগমে গণজাগরণ মঞ্চের প্রথম মহাসমাবেশ। ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ। ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয়দফা সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা সংহতি প্রকাশ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : আন্দোলনের কেন্দ্রস্থলে ১০০ ফুট বাই ৬০ ফুটের বিশাল পতাকা টাঙানো হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : বিকেল ৪টা থেকে ৪টা ৩ মিনিট- এ তিন মিনিটের নীরবতায় সারাদেশ স্তব্ধ হয়ে যায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : ‘রঙে রঙে প্রতিবাদী ফালগুন’ উদযাপন করে গণজাগরণ মঞ্চ। এই দিনই স্থাপিত হয় শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতিকৃতি। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : লক্ষ মোমবাতির আলোতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সৃষ্ট অন্ধকার দূর করার দৃঢ় প্রত্যয় জানায় গণজাগরণ মঞ্চ। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : ব্লগার রাজীব হায়দার খুন হন জামাত-শিবিরের হাতে। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : রাজীব হায়দারের মরদেহ সামনে নিয়ে দৃপ্ত আন্দোলনের শপথ নেয় লাখো জনতা। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়- সংসদে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন বিল পাস হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা তা উদযাপন করেন। রাজীব হায়দারকে হত্যার প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানে কালো পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি পালন করে সারাদেশ। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : একুশে ফেব্রুয়ারি মহাসমাবেশের ডাক দেয় গণজাগরণ মঞ্চ। ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : সারাদেশে গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে তোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : ছাব্বিশে মার্চের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার আলটিমেটাম দেয় গণজাগরণ মঞ্চ। ১৭ দিনের টানা অবস্থান কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনে বিকেল তিনটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত কর্মসূচি দেয়া হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করে গণজাগরণ মঞ্চ। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গণজাগরণ মঞ্চের সংহতি সমাবেশ। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের জনসমাবেশ। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ : মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের জনসমাবেশ। ১ মার্চ, ২০১৩ : স্বাধীনতার মাসকে সামনে রেখে গণজাগরণ মঞ্চের সারাদেশব্যাপী বিশেষ প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৩ মার্চ, ২০১৩ : বাহাদুর শাহ পার্কে গণজাগরণ মঞ্চের সংহতি সমাবেশ। ৪ মার্চ, ২০১৩ : গণজাগরণ মঞ্চের স্থায়ী মঞ্চ স্থাপিত হয়। ৫ মার্চ, ২০১৩ : যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ। ৭ মার্চ, ২০১৩ : ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ৮ মার্চ, ২০১৩ : আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে ‘নারী জাগরণ সমাবেশ’। বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিটে ককটেল বিস্ফোরণ। ১৩ মার্চ, ২০১৩ : চট্টগ্রাম যেতে চাইলে পুলিশের বাধা প্রদান। ২০ মার্চ, ২০১৩ : যুক্তরাজ্য গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে তিনশ’ মাইল হাঁটা কর্মসূচি শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কাছে ‘যুক্তরাজ্যে বসবাসরত যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশের ওয়্যার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের কাছে হস্তান্তর’ শীর্ষক স্মারকলিপি পেশ। ২৫ মার্চ, ২০১৩ : রাত ১১টায় মৌন পদযাত্রা- প্রজন্ম চত্বর থেকে শহীদ মিনার ১১টা ২৯ মিনিট থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ‘ফিরে যাই একাত্তরে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান পালন। ১১টা ৩৫ মিনিটে শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে সেখান থেকে জগন্নাথ হলের দিকে আলোক পদযাত্রা। ১১টা ৫৮ থেকে ১২টা পর্যন্ত নিষ্প্রদীপ মুহূর্ত পালন। ২৬ মার্চ, ২০১৩ : সকাল ৭টায় জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিকেল ৪টায় মুক্তিযোদ্ধা জনতা মহাসমাবেশ; রাত ৮টায় ৪২টি ফানুস উড়ানো হয় স্বাধীনতার ৪২ বছরকে স্মরণ করে। ৩০ মার্চ, ২০১৩ : ভারতের কলকাতায় স্থাপিত হয় গণজাগরণ সংহতি মঞ্চ। ৩১ মার্চ, ২০১৩ : সকল যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিসহ ছয়দফার প্রতি সমর্থন আদায়ের স্মারক হিসেবে জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকারের কাছে দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ হাজার ৭৬১টি গণ-স্বাক্ষর। ৪ এপ্রিল, ২০১৩ : যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গণজাগরণ মঞ্চের স্মারকলিপি প্রদান। ৫ এপ্রিল, ২০১৩ : সকাল ছয়টা থেকে হেফাজতে ইসলামের সন্ত্রাসীদের লং মার্চ প্রতিরোধে গণজাগরণ মঞ্চের বাইশ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু। ৬ এপ্রিল, ২০১৩ : গণজাগরণ মঞ্চে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং সমাবেশের আগে বিকেল পাঁচটা আঠারো মিনিটে হেফাজতের সন্ত্রাসীরা প্রথম দফায় হামলা চালানোর অপচেষ্টা করে। এরপর তারা কয়েক দফায় হামলা চালানোর অপচেষ্টা করে। ৮ এপ্রিল, ২০১৩ : হেফাজতে ইসলামের অবৈধ হরতাল প্রত্যাখ্যান করে সারাদেশে পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ৯ এপ্রিল, ২০১৩ : প্রজন্ম চত্বরে হামলার অপচেষ্টা এবং মতিঝিলে নারী গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বিকেল ৬টা ১০ মিনিটে লাঠি মিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। ১০ এপ্রিল, ২০১৩ : এই দিন সন্ধ্যায় শহীদদের উদ্দেশে লেখা চিঠিগুলো ‘বুক পকেটের চিঠি’ শিরোনামে পাঠ করা হয় প্রজন্ম চত্বরে। ১১ এপ্রিল, ২০১৩ : শিবিরের হরতালের প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিল। ১২ এপ্রিল, ২০১৩ : চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপন। ১৪ এপ্রিল, ২০১৩ : বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় নববর্ষের মহাসমাবেশ। ১৭ এপ্রিল, ২০১৩ : জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে গণজাগরণ মঞ্চের একাত্তরতম দিনের উদযাপন। ১৯ এপ্রিল, ২০১৩ : চা-শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে গণজাগরণ মঞ্চ সিলেট খাদিম চা-বাগানের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে। ২২ এপ্রিল, ২০১৩ : গণজাগরণ মঞ্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণ-সংযোগ শুরু করে। ২৪ এপ্রিল, ২০১৩ : সাভারের রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর গণজাগরণ মঞ্চই প্রথম রক্ত সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। ২৬ এপ্রিল, ২০১৩ : রানা প্লাজায় স্থাপন করা হয় ফিল্ড হাসপাতাল। ১ মে পর্যন্ত চলে এই আটশয্যার ফিল্ড হাসপাতাল। ১ মে, ২০১৩ : শ্রমিক-জনতা মহাসমাবেশ শুরু হয় প্রজন্ম চত্বরে বিকেল পৌনে পাঁচটায়। ৩ মে, ২০১৩ : গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে। ৫ মে, ২০১৩ : গণজাগরণ মঞ্চের তিনমাস পূর্তি। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপত্র ‘গণজাগরণ’- এর প্রকাশনা উৎসব হয় প্রজন্ম চত্বরে। ৬ মে, ২০১৩ : প্রজন্ম চত্বরে স্থাপিত গণজাগরণ মঞ্চের কাঠের তৈরি মঞ্চটি ভেঙে দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয় মিডিয়া সেলসহ অন্যান্য মুক্তমঞ্চ। ৭ মে, ২০১৩ : হেফাজতের সন্ত্রাসী কর্মকা- এবং গণজাগরণ মঞ্চের কাঠের বেদী ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে প্রজন্ম চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল। ৮ মে, ২০১৩ : কামারুজ্জামানের রায়ের আগের দিন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। ১০-১৪ মে, ২০১৩ : জামায়াত-শিবিরের ডাকা অবৈধ হরতাল প্রতিরোধে বিক্ষোভ করে গণজাগরণ মঞ্চ। ১৯ মে, ২০১৩ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ২০মে ময়মনসিংহে পূর্ব-নির্ধারিত জন-সমাবেশ বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে বাতিল করা হয় ৩১ মে- এর মহাসমাবেশও। ৬ জুন, ২০১৩ : গণজাগরণ মঞ্চ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে। ১০ জুন, ২০১৩ : জামায়াত-শিবিরের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল প্রতিরোধে হরতাল বিরোধী মিছিল। এ সময় কয়েকটি হাতবোমা বিষ্ফোরিত হয়। ১১ জুন, ২০১৩ : সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রজন্ম চত্বরে হাতবোমা বিষ্ফোরণের প্রতিবাদে মশাল মিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। ১৮ জুন, ২০১৩ : মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার ‘আত্মগোপনে’- এমন মিথ্যা-ভাষণের মাধ্যমে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘গার্ডিয়ান’- এ প্রকাশিত হয় ঠরড়ষবহপব ধহফ ঢ়ৎড়ঃবংঃং পড়ঁষফ ফবৎধরষ ইধহমষধফবংয বষবপঃরড়হং- শিরোনামে নিবন্ধ। ২৬ জুন, ২০১৩ : শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ১৯তম প্রয়াণ দিবসকে সামনে রেখে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে গণজাগরণ মঞ্চ। সেই সঙ্গে ছিল শহীদ জননীকে নিবেদিত গান ও পঙক্তিমালা। ২ জুলাই, ২০১৩ : গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- এর শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান দ্বীপের হত্যাকারী হেফাজত-জামায়াত কর্মীদের শাস্তি এবং ওই সংগঠন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ৩ জুলাই, ২০১৩ : ইসলামী ছাত্রশিবিরের হরতাল প্রত্যাখ্যান করে শাহবাগে মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চ। ৫ জুলাই, ২০১৩ : ‘জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ শীর্ষক গণ-সংলাপের আয়োজন করে গণজাগরণ মঞ্চ। ১৫ জুলাই, ২০১৩ : গোলাম আযমের নব্বই বছরের কারাদ-ের রায় প্রত্যাখ্যান করে গণজাগরণ মঞ্চ। ১৬ জুলাই, ২০১৩ : গোলাম আযমের রায় প্রত্যাখ্যান এবং দ্রুত আপিলের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে গণজাগরণ মঞ্চ। ১৭ জুলাই, ২০১৩ : যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় ঘোষিত হয়। ১৯ জুলাই, ২০১৩ : গোলাম আযমের রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিলের দাবিতে প্রজন্ম চত্বরে জনসমাবেশ করে গণজাগরণ মঞ্চ। ২০ জুলাই, ২০১৩ : জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ৯০ বছর কারাদ-ের রায়ে সংক্ষুব্ধ গণজাগরণ মঞ্চ আপিলের আহ্বান জানিয়ে সরকারের প্রধান আইনি কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলকে স্মারকলিপি দেয়। মাহবুবে আলমের অনুপস্থিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এক কে রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। ২৬ জুলাই, ২০১৩ : ‘ইতিহাসের পোর্ট্রেট’ শিরোনামে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়। ৩১ জুলাই, ২০১৩ : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আপিল বিভাগে ভ্যাকেশন বেঞ্চ চালু রাখার দাবিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে গণজাগরণ মঞ্চ। স্মারকলিপিটি সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। ১ আগস্ট, ২০১৩ : যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানিয়ে শাহবাগে উচ্ছ্বাস। ১৩ আগস্ট, ২০১৩ : জামায়াতের ৪৮ ঘণ্টার হরতাল প্রত্যাখ্যান করে মিছিল। ১৫ আগস্ট, ২০১৩ : বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু। ২৩ আগস্ট, ২০১৩ : সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ : মঞ্চের সংগঠক আরিফ নূরের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ : কাদের মোল্লার আপিলের রায়ের অপেক্ষায় শাহবাগে অবস্থান গ্রহণ। ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ ও আনন্দ সমাবেশ। হরতাল প্রতিহতের ডাক। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ : সাকা চৌধুরীর রায়ের অপেক্ষায় শাহবাগে অবস্থান গ্রহণ। ৯ অক্টোবর, ২০১৩ : আলীমের রায়ের অপেক্ষায় শাহবাগে অবস্থান গ্রহণ। রায়ে আলীমের যাবজ্জীবন কারাদ- প্রত্যাখ্যান করে দ্রুত আপিলের আহ্বান। ২ নভেম্বর, ২০১৩ : ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি ও প্রসিকিউটরদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জনসমাবেশ। ৩ নভেম্বর, ২০১৩ : দুই বদর নেতা আশরাফ ও মঈনুদ্দীনের রায়ের অপেক্ষায় অবস্থান গ্রহণ ও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ। ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩ : জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী পিরোজপুরের মোস্তফা হাওলাদার এবং বগুড়ায় গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক কলেজ শিক্ষক জিয়া উদ্দীন জাকারিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে মশাল মিছিল। ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩ : কাদের মোল্লার ফাঁসির অপেক্ষায় শাহবাগে অবস্থান গ্রহণ। কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিতের ঘোষণায় শাহবাগে বিক্ষোভ এবং টানা অবস্থান গ্রহণের ঘোষণা। ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩ : কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর তিনদিনের টানা অবস্থান প্রত্যাহার। ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত, কনসার্ট ও আলোক উৎসব। ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩ : যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে পাকিস্তান পার্লামেন্টের অযাচিত হস্তক্ষেপ চেষ্টার প্রতিবাদে পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাওয়ের ঘোষণা। ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩ : পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও করতে গেলে পুলিশি হামলা। গুলশান-২-এ অবস্থান গ্রহণ। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য ২০ ঘণ্টার আলটিমেটাম। ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ : পাকিস্তান দূতাবাস পুনর্বার ঘেরাও করতে গেলে পুলিশি হামলা। গুলশান-২-এ প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, গণজাগরণ মঞ্চের অন্তত ২০ জন সদস্য গ্রেফতার। ইমরান এইচ সরকারসহ ছয়-সাতজন হাসপাতালে ভর্তি। প্রেস ব্রিফিং করে পরদিন শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক। ২০ ডিসেম্বর, ২০১৩ : পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে পক্ষকালব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু। পথেঘাটে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের লিফলেট বিতরণ, দোকানে দোকানে প্রচারণা। ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ : বাণিজ্য মেলায় পাকিস্তানি স্টল বরাদ্দ না করার দাবিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশ। ৭ জানুয়ারি, ২০১৩ : সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা ও তিনদফা দাবি পেশ। সর্বশেষ গত ৫জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে রোডমার্চের কর্মসূচী ঘোষণা করে গণাজাগরণ মঞ্চ। গত ৭ জানুয়ারি রোডমার্চ কর্মসূচী ঘোষণা করে গণজাগরণ মঞ্চ। ৯ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে তারা। ১০ ও ১১ জানুয়ারি, ২০১৩ : শাহবাগ থেকে যশোরের মালোপাড়ার উদ্দেশে রোডমার্চ। নির্ধারিত-অনির্ধারিত মিলিয়ে প্রায় ২০টি সমাবেশ ও পথসভা। ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি, ২০১৩ : সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে দ্বিতীয় রোডমার্চ। নির্ধারিত-অনির্ধারিত মিলিয়ে প্রায় ২০টি সমাবেশ ও পথসভায় ব্যাপক মানুষের সাড়া। যাত্রাপথে একাধিক স্থানে গাড়িবহরে জামায়াত-শিবিরের বোমা হামলা। বোমা হামলার প্রতিবাদে ১৮ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে করছে গণজাগরণ মঞ্চ। এ ব্যাপারে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, রাজাকার মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে গণজাগরণ মঞ্চের উত্থান। দেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গণজাগরণ মঞ্চ কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও যাবে। তিনি বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের মুখে ইতোমধ্যে রাজাকারদের ফাঁসির রায় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বাকিদেরও কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied