রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, দুপুর ১১:১৫
আমীর মুহাম্মদ
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা ও ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ের একটি ডাস্টবিন থেকে দুইটি এবং জহুরি মহল্লার কাদেরিয়া মাদ্রাসার সামনের ডাস্টবিন থেকে অপর একটি নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। তিনি আরো বলেন, উদ্ধারকৃত তিন নবজাতকের লাশই অবৈধ বলে গোপনে কেউ ডাস্টবিনে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। লাশগুলো কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, সকালের দিকে মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ের একটি ডাস্টবিনে কয়েকটি কুকুর ময়লার স্তূপের মধ্যে খাবার খুঁজছিল। এ সময় এক পথচারী দেখেন ডাস্টবিনে কাপড়ের পোটলা পড়ে আছে, কুকুর সেটা টেনে নেয়ার চেষ্টা করছে। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় তিনি তাত্ক্ষণিক কুকুরগুলো তাড়িয়ে অন্য লোকদের ডাকেন। সেখানে দুটি নবজাতকের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সে নবজাতকের লাশকে ঘিরে সেখানে উত্সুক জনতার ভিড় জমে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। একই সময়ে জহুরি মহল্লার কাদেরিয়া মাদ্রাসার সামনের ডাস্টবিনে অপর একটি নবজাতকের লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। পরে পুলিশ সেটাও উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন আইনজীবী বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে ভ্রূণ হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। দণ্ডবিধির ৩১২ ধারায় সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে, কাউকে গর্ভপাত করানো হলে এবং তিনি যদি সরল বিশ্বাসে সে গর্ভপাতে সম্মত হন, তাহলে গর্ভপাতের পেছনে থাকা অপরাধীর তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। দণ্ডবিধির ৩১৩ ধারায় বলা হয়েছে, যদি স্বাভাবিক গর্ভপাতের কাছাকাছি সময়ে, অর্থাত্ মায়ের পেটে সন্তান পূর্ণ শারীরিক গঠন পাওয়ার পর কাউকে গর্ভপাত করানো হয়, তাহলে ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সমাজ বিজ্ঞানী ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, এ ধরনের অপরাধের কোনো শাস্তি না হলে অথবা তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেলে সমাজে অস্থিতিশীলতা বাড়বে। যেসব অভিভাবক নবজাতক হত্যা করছে সেসব পরিবারে শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ার আশংকা থাকে। [সৌজন্যে : ইত্তেফাক]
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা ও ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ের একটি ডাস্টবিন থেকে দুইটি এবং জহুরি মহল্লার কাদেরিয়া মাদ্রাসার সামনের ডাস্টবিন থেকে অপর একটি নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। তিনি আরো বলেন, উদ্ধারকৃত তিন নবজাতকের লাশই অবৈধ বলে গোপনে কেউ ডাস্টবিনে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। লাশগুলো কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালের দিকে মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ের একটি ডাস্টবিনে কয়েকটি কুকুর ময়লার স্তূপের মধ্যে খাবার খুঁজছিল। এ সময় এক পথচারী দেখেন ডাস্টবিনে কাপড়ের পোটলা পড়ে আছে, কুকুর সেটা টেনে নেয়ার চেষ্টা করছে। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় তিনি তাত্ক্ষণিক কুকুরগুলো তাড়িয়ে অন্য লোকদের ডাকেন। সেখানে দুটি নবজাতকের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সে নবজাতকের লাশকে ঘিরে সেখানে উত্সুক জনতার ভিড় জমে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। একই সময়ে জহুরি মহল্লার কাদেরিয়া মাদ্রাসার সামনের ডাস্টবিনে অপর একটি নবজাতকের লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। পরে পুলিশ সেটাও উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন আইনজীবী বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে ভ্রূণ হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। দণ্ডবিধির ৩১২ ধারায় সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে, কাউকে গর্ভপাত করানো হলে এবং তিনি যদি সরল বিশ্বাসে সে গর্ভপাতে সম্মত হন, তাহলে গর্ভপাতের পেছনে থাকা অপরাধীর তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। দণ্ডবিধির ৩১৩ ধারায় বলা হয়েছে, যদি স্বাভাবিক গর্ভপাতের কাছাকাছি সময়ে, অর্থাত্ মায়ের পেটে সন্তান পূর্ণ শারীরিক গঠন পাওয়ার পর কাউকে গর্ভপাত করানো হয়, তাহলে ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সমাজ বিজ্ঞানী ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, এ ধরনের অপরাধের কোনো শাস্তি না হলে অথবা তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেলে সমাজে অস্থিতিশীলতা বাড়বে। যেসব অভিভাবক নবজাতক হত্যা করছে সেসব পরিবারে শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ার আশংকা থাকে।
[সৌজন্যে : ইত্তেফাক]
মন্তব্য করুন
ব্রেকিং নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট