আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬      

 width=
 

নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে লোক নিয়োগের প্রতিবাদে জলঢাকায় সড়ক অবরোধ

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২, রাত ০৮:৫৬

নিজস্ব সংবাদদাতা,নীলফামারী॥ অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে দপ্তরি কাম পাহারাদার নিয়োগে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার পায়তারার অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা অফিসারের অপসারণের দাবি তুলে সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সকল অঙ্গসংগঠন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ চলাকালীন নিয়োগ বোর্ড কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষনা করতে বাধ্য হয়। এ নিয়ে সেখানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সড়ক অবরোধ চলাকালীন জলঢাকা উপজেলা থেকে রংপুর,ঢাকা,নীলফামারী সহ বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং যানজোটের সৃষ্টি হয়। সড়ক অবরোধ কর্মসূচী চলাকালিক জলঢাকা উপজেলা জিরো পয়েন্টে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, উপজেলা যুবলীগ আব্দুল ওয়াহেদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ,ছাত্রলীগ সভাপতি সারোয়ার রশিদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মশিউর রহমান বাবু, পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাসানুজ্জামান চৌধুরী,শ্রমিক লীগের আহবায়ক শাহিনুর রহমান প্রমুখ। এ সময় বক্তারা নিয়োগ বাণিজ্যে সরকারের ভাবমূর্তি পায়তারা কারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অপসারণ সহ বিচার দাবি করেন। এ ঘটনায় জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল অভিযোগ করে জানান জলঢাকা উপজেলার ৮৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম পাহাড়াদার নিয়োগের প্রথম পর্যায়ে ২৯টি বিদ্যালয়ের জন্য স্থানীয় উপজেলা শিক্ষা অফিস নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সোমবার প্রথম পর্যায় ২৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২টি বিদ্যালয়ের লোক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা ছিল । পরীক্ষার নিয়োগ বোর্ডে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকন-উল হাসান ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম তাদের মনগড়া প্রতিনিধির মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ এবং যাদের নিয়োগ দেবেন এমন ব্যক্তিদের আগাম ঠিক করে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেন। যা অস্বচ্ছতা ও অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে লোক নিয়োগে তারা বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করার পায়তারা করছি। এই ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন সহ মহাজোটের সকল নেতাকর্মীরা সোমবার রাস্তায় নেমে ২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ কর্মসূচী শুরু করে। তিনি আরও জানান এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত ঘোষনা করলে দুই ঘণ্টা পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। এ ব্যাপারে জলঢাকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম জানান নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী এরমধ্যে নিয়োগ বোর্ডে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মনোনীত একজন করে প্রতিনিধি ছিল প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য গঠিত নিয়োগ বোর্ডে। মৌখিক পরীক্ষার পর এখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থায়ী সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে নিয়োগ চূড়ান্ত করবেন। এখানে অর্থবানিজ্যের মাধ্যমে লোক নিয়োগের কোন প্রশ্ন উঠেনি। সরকারি দলের লোকজন নিয়োগ বোর্ডে তাদের একজন করে প্রতিনিধি দাবি করে। যা নীতিমালায় নেই। তাই তারা আন্দোলন শুরু করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied