আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

এই এরশাদ আর সেই এরশাদ

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, বিকাল ০৫:৫৭

পাশেই ছিলেন সালেহীন আহমেদ; কিছুই বুঝতে পারছিলেন না; রাশেদের দিকে তাকাতেই রাগদ কণ্ঠে আবারো বললো, এবার বোঝ ঠেলা কারে কয়। বউয়ের ঠেলায় একেবারে চিৎপটাং— সালেহীন জানতে চাইলো- দোস্ত কারে ঝাড়তাছিস? কিছুই বুঝলাম না। --আর কারে, ওই ব্যাটা এরশাদকে। --মানে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ? জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান? সাবেক রাষ্ট্রপতি? রাশেদ এবার ক্ষেপে ওঠে সালেহীনের ওপর; ও! দরদ লাগে না? একদলীয় নির্বাচনের সিলটা মারতে দেয়নি; তাইতো? হাসতে হাসতে সালেহীন বললো, না, তা না; বল বিএনপিকে বিপদে ফেলেছে বলে? এবার আরো ক্ষেপে যায় রাশেদ; জানতে চায়, বিএনপি কী বিপদে পড়েছে? এই বিতর্কের মাঝেই হাজির হয় আল আমিন; এসেই দু’জনের অবস্থান দুই মেরুতে দেখতে পেয়ে কিছুটা বিস্মিত সে। কী হলোরে? কি নিয়ে যুদ্ধ চলছে? আবারো সেই রাজনীতি নাকি? রাশেদ জবাব দেয়, আর কী? ওরতো (সালেহীন) পোয়া বারো; ওর দলতো ক্ষমতায় বসেছে; তাও আবার পাঁচ বছরের জন্য! তার একদিন আগেও নাকি ক্ষমতা ছাড়বে না। আর এসব বলে বেড়াচ্ছে খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মন্ত্রী হতে না পারা হাসান মাহমুদরা। উপজেলা ইলেকশনের পরই বেচারারা টের পাবে কতো ধানে কতো চাল। সালেহীন নিরুত্তর; কথা বলেন আল আমিন। উপজেলার পরই ঘুরে দাঁড়াবে বিএনপি? এমনটা ভাবার মতো কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি। দলের ভেতরে যেসব চলতাছে; তাতে ঘুড়ে পড়ে না গেলেই হয়। খোকা একদিকেতো আব্বাস অন্যদিকে। সালেহীন যোগ করেন, এমনটাতো আগেও ছিল। তবে এবার অন্যরা এই বিরোধে ঘি ঢালছে। রাশেদ বলেন, সরকারও মিশন নিয়ে নামছে। এতোদিন দেশ অচল থাকলেও ঢাকা ছিল সচল; আগামীতে দেশের সঙ্গে ঢাকাকেও অচল করতে চায় বিএনপি। সেই লক্ষ্য পূরণ হবার নয়; মন্তব্য করে সালেহীন। আল আমিন যোগ করেন, বেনজীর আহমেদ ডিএমপি কমিশনার থাকলেতো হবেই না। তিনজনের এই বিতর্ক চলা অবস্থায় আসেন আমিনুল মজলিশ; জানতে চান, কী নিয়ে চলছে আজকের পর্ব। আল আমিন জবাব দেয়, কী নিয়ে শুরু আর কোথায় শেষ কেউ জানি না। শুরু হয়েছিল এরশাদকে নিয়ে আর এখন চলছে ঢাকা মহানগর বিএনপি নিয়ে। আন্দোলন কতোদূর যাবে আর সরকারই কতোদিন ক্ষমতায় থাকবে-এসব নিয়ে। তা মূলে ফিরে যাওয়াই ভালো; মত দিলেন আল আমিন। মজলিশ বললেন, এরশাদের এখন খুবই দুঃসময় যাচ্ছে। কী ছিলো সেই এরশাদ আর কী হলো এই এরশাদের। সবাই জানতে চাইলো-মানে কী? বিশেষ কোনো পরিবর্তন? এরশাদতো যেসব গুণে গুণান্বিত; সবই এই বয়সেও বহাল রেখেছেন। বাধ সাধলেন আমিনুল মজলিশ; বললেন, একটা এরশাদের উত্থানের সময়; এখনকারটা পতনের। সেই দিনগুলো ছিল আলোকজ্জ্বল, বর্ণিল আর এখন অন্ধকার, অমানিশার মতো। এসব হেয়ালিপনা রাখুন, কী বলতে চান সোজা সাপ্টা কওে বলুন, তাগিদ দিলেন রাশেদ খান। বললেন, আগে এরশাদ হুকুম করতো; অন্যরা তা তামিল করতেন। এখন অন্যরা হুকুম করে, এরশাদ তা তামিল করে। এমনকি বউয়ের কাছেও ব্যাটা ধরা খেলো! মজলিশ যোগ করেন, স্বৈরশাসক এরশাদ যা বলতেন-তাই হতো। পতœী ছিলো একটা; উপপতœী অনেক। নব্বইয়ের পর কতো জনের নামইতো সংবাদপত্রের পাতায় এসেছে। পতনের পরও রংপুরে এরশাদের কোনো বিকল্প ছিল না; পাঁচ আসনে প্রার্থী; সবকটিতেই বিজয়ী। স্বকীয়তা নিয়ে যতোদিন এরশাদ চলেছেন, ততোদিন পচে যাননি; মন্তব্য ছুড়লেন সালেহীন। বললেন, মহাজোটের শরিক হওয়ার পর থেকেই তার পচন ধরে। আর এবারতো একেবারেই শেষ করে ফেললেন নিজের অবস্থান। সিএমএইচের বিছানায় শুয়ে (কখনো গলফ খেলে) নির্বাচনের সময় পার করলেন। দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন। অনেকে সেই নির্দেশে প্রত্যাহার করে সওে দাঁড়ালেন (বলি হলেন); অনেকে রওশন এরশাদসহ অন্যদের পরামর্শে প্রতিযোগিতায় থেকে এমপি বনে গেলেন। সবচেয়ে গুবলেট পাকিয়েছে যেটি; এই প্রথম রংপুরের ছাওয়া (পুত্র) এরশাদকে লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের মোতাহারের কাছে পরাজয় মানতে হলো। আল আমিন বললেন, এতোদিন এরশাদের একক সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টি চলতো; এখন এককতো নয়ই অনেক ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তই ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সংসদে বিরোধী দলের নেতা হলেন রওশন এরশাদ; এটা তার সিদ্ধান্ত ছিল না। এরশাদ যাদেরকে সংরক্ষিত আসনে দলের এমপি করতে চান, তাদের ব্যাপারে রওশন এরশাদের রয়েছে আপত্তি। দলে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে, সভা ডাকলেন এরশাদ; এলেন অনেকে; কিন্তু ক্ষমতার মসনদে যারা, তারা কেউ সেখানে যাননি। রাশেদ খান যোগ করেন, আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার পুরস্কারতে একটা পেয়েছেন এরশাদ; মন্ত্রীর মর্যাদায় বিশেষ দূত হয়েছেন। এটা কম কি সে? এরশাদনামা রাখ; কী হবে আগামী দিনের রাজনীতি জানতে চাইলেন আমিনুল মজলিশ। সালেহীন বললেন, সরকার সুবিধাজনক অবস্থায়। উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে সরকারের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হলো। ভিন্নমত জানালো রাশেদ খান; উপজেলা সরকারের জন্য অচীরেই উপজ্বালা হিসেবে দেখা দেবে। বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজেলা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর রাজপথে দুর্বার আন্দোলনের পথে এগুবে। আল আমিন বললেন, জনগণের ইস্যু আন্দোলনে না থাকলে সেই আন্দোলনের পালে কতোটা হাওয়া লাগবে-বলা মুশকিল। আমিনুল মজলিশ বললেন, তবে সামনের দিনগুলোতে কঠিন অবস্থার দিকেই যাচ্ছে দেশ। দরকার সমঝোতার faউদ্যোগ; দরকার সংলাপ। যতো দ্রুত তা শুরু হবে-ততোই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল।

মাহমুদ আল ফয়সাল

মন্তব্য করুন


 

Link copied