আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ব্রহ্মপুত্র চরের প্রসূতিদের নারীদের বিপদের বন্ধু রাবেয়া বেগম

শনিবার, ৮ মার্চ ২০১৪, দুপুর ১০:৩২

শুরুর কথাঃ রাবেয়া বেগম জানান, মাত্র ১৪-১৫ বছর বয়সেই তার দাদী মিনারা বেগমের কাছে তার দাই শিক্ষার হাতেখড়ি। তার দাদী অত্র এলাকার একজন দক্ষ দাই ছিলেন। দাদী যখন কাউকে প্রসব করানোর কাজে যেতেন তখন তিনি নিজেও তার সাথে যেতেন। এভাবেই দাদীর কাছে ধাত্রী বিদ্যার কলাকৌশল শেখা। পুরোপুরি ধাত্রী হিসাবে কাজ শুরু করেন ১৯৬৯ সালে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওই ইউনিয়নের জবান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর নিজের আগ্রহ আর স্বামীর উৎসাহে এই কার্যক্রম অব্যাহত ভাবে চলতে থাকে। তার সাথে আলাপ কালে তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৫০ জন প্রসূতি নারীর সন্তান ভূমিষ্ট করিয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ কর্ম জীবনে শুধু একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। এত সঠিক হিসাব কিভাবে রাখলেন বলতেই তিনি বলেন, একটা কইরা বাচ্চা হইলে বাড়িতে আইসা দড়ির মধ্যে গেরো দিয়া রাখতাম। এই ভাবেই বাচ্চা প্রসব করার হিসাব রাখছি।

এলাকাবাসী যা বলেনঃ ওই ইউনিয়নের শংকরমাধবপুর গ্রামের কুরবান আলী (৮০) বলেন, আমার বড় পোলার বউয়ের প্রথম বাচ্চা হউনের সময় সকালে ব্যাথা উঠছে রাত হয় তাও বাচ্চা হয় না। পরে পাশের বাড়ির একজন কইলো রাবেয়ারে নিয়া আইতে। হে আইলো তার পরে বাচ্চাডা হয়। পাশ্ববর্তী চিলমারী উপজেলার বড় চর গ্রামের আসকর আলী বলেন, আমাগো এই চরের বেশির ভাগ বাচ্চা হউনের সময় রাবেয়া আপা সাহায্য করছে। তার হাত খুব ভালা। কোদালকাটি চরসাজাই দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার চারপাশে নদী ডাক্তার পাওয়া যায় না। ধাত্রী হিসাবে রাবেয়া বেগম খুবই পারদর্শী, সে আমাদের গর্ব। গ্রামের মানুষের বিপদের বন্ধু, ঝড়, বৃষ্টি শত প্রতিকুলার মাঝেও তাকে প্রসব কাজে ডাকলে তিনি ছুটে আসেন। টাকা পয়সার কোন লোভ নেই, যে যা দেয় সে তাই নেয়। কখনও মন খারাপ করে না। এমন পরউপকারী মানুষ সমাজে বিরল। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস এর সমাজ কল্যাণ ইউনিট চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, রাবেয়া বেগমের দক্ষতা ও আগ্রহ দেখে তাদের সংস্থার উদ্যোগে তাকে ৭ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং একটি ফাষ্ট এইড বক্স দেওয়া হয়েছে। এতে প্রসব কাজে সহায়ক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রয়েছে।

রাবেয়া বেগমের সংসারঃ রাজীবপুর উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে নদী বিচ্ছিন্ন দ্বীপচর কোদালকাটি ইউনিয়নের সাজাই কারিগর পাড়া গ্রামে রাবেয়া বেগমের বাড়ি। দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন, দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা বসবাস করে। স্বামী জবান আলী (৮০) বয়সের ভারে নুয়ে পরেছে। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগব্যাধি, টাকার অভাবে স্বামীর সুচিকিৎসা হয় না। ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনে কয়েক বার বাড়ি ভাঙ্গনের ফলে পরিবারটি নিঃস্ব। রাবেয়া বেগম বলেন, মানুষের বিপদের খবর পাইলে যত কষ্টই হোক ছুইটা যায়। মানুষের উপকার করতে পারলে খুব ভাল লাগে। আল্লাহ যতদিন শক্তি দেয় মানুষের উপকার কইরা যাবার চাই।

মন্তব্য করুন


 

Link copied