আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

কথা না শুনলে মাশুল দিতে হবে : খালেদা

রবিবার, ৯ মার্চ ২০১৪, রাত ০৯:১৮

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘দেশের জনগণ সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সময় থাকতে তাদের কথা না শুনলে আরো বেশি মাশুল দিতে হবে। এখন ক্ষমতায় আছেন, কিন্তু পরে এর পরিণতি ভালো হবে না।’ রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন তিনি। ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিতদের সংবর্ধনা জানাতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপি ট্রেন মিস করেনি। বরং আওয়ামী লীগই ভুল ট্রেনে উঠে পড়েছে। জনগণ সে ট্রেনে ওঠেনি। ওই ট্রেন পড়ে গেছে। এখন দরকার ক্রেন! ‘তিনি  (শেখ হাসিনা) নাকি কপালি। হায় রে কপাল মন্দ। গোপালি এখন ট্রেনে নয়, তাকে ক্রেন দিয়ে টেনে তুলতে হবে।’ প্রসঙ্গ টেনে যোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলে আমরা নাকি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছি। বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয় না। তারাই প্রহসনের নির্বাচনের স্বীকৃতি নিতে বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে।’ ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করিনি’-এমন মন্তব্য করে খালেদা বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আওয়ামী লীগের অধীনে যে অবাধ নির্বাচন হতে পারে না, জনগণ তা দেখিয়ে দিয়েছে। আর তাই আওয়ামী লীগ একঘরে হয়ে পড়েছে। এজন্য জাতীয় সংসদে কোনো বিরোধী দল নেই। যারা আছে তারা আওয়ামী লীগের ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দল।’ সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্থ ও অবৈধ -আখ্যা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘এ সরকার যতদিন থাকবে দেশের জন্য মঙ্গল হবে না। বিগত ৫ বছরে দেশে কোনো বিনিয়োগ হয়নি। বিদেশিরা এ দেশে বিনিয়োগ করতে আসেনি। ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে। কিন্তু কেউ তা নিতে সাহস পাচ্ছে না। কারণ দেশের অবস্থা ভালো না।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার পুলিশ ও র‌্যাবকে আওয়ামী লীগের কর্মী বাহিনীতে পরিনত করেছে। সারা দেশে চলছে খুন, গুম, জবরদখল। প্রশাসন বলতে কিছু নেই। সবক্ষেত্রে চলছে দলীয়করণ। যোগ্য ও মেধা বাদ দিয়ে কে কত বড় আওয়ামী লীগ সেটি দেখা হচ্ছে।’ ‘বিচার বিভাগকে স্বাধীন বলা হলেও কার্যত পরাধীন। কারণ বিচারকদের কাজ করেত বাধ্য করা হচ্ছে। আজকের বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করাই তাদের উদ্দেশ্য।’, অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। ‘ভারতকে সবকিছু দেওয়া হলেও তাদের কাছ থেকে অবৈধ সরকার কিছুই আনতে পারেনি’-মন্তব্য করে বিএনপি প্রধান বলেন, ‘এখন না কি তাদের (ভারত) ট্রানজিট ও করিডোর দেওয়া হবে। সরকারকে বলে দিতে চাই, যতক্ষণ পর্যন্ত তিস্তার পানি না পাওয়া যাবে, ততদিন ট্রানজিট দেওয়া যাবে না।’ বেগম জিয়া বলেন, ‘এই সরকার যৌথ বাহিনী দিয়ে একের পর এক মানুষ হত্যা করছে। সব হিসাব জমা রাখা হচ্ছে। এর জবাব একদিন দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ৩০ জন ফাঁসির আসামি ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রাখা হচ্ছে।’ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যেগের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘যে সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস দিতে পারে না, তারা এখন আবার দাম বাড়াতে চায়। কার স্বার্থে এ দাম বাড়ানো হচ্ছে- তা দেশের মানুষ জানতে চায়। সরকারের যদি জনগণের প্রতি সামান্যতম দায়িত্ব থেকে থাকে তাহলে বিদ্যুতের দাম বাড়াবে না। কারণ বিদ্যুতের দাম বাড়লে অন্যান্য ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। খালেদা জিয়া দাবি করে বলেন, ‘বিএনপি দুর্বল দল নয়। অনেক শক্তিশালী। উপজেলা নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হচ্ছি। সরকার সন্ত্রাসী কর্মকা- না করলে ফলাফল আরো ভালো হতে পারতো।’ গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং দেশ রক্ষায় আগামী দিনে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে উল্লেখ্য করে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানে। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, দলটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালকদার, ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোহসীন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. মোসলেউদ্দীন জসীম, ঢাকা আয়কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied