আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬      

 width=
 

সাদুল্যাপুরে ঘাঘট নদী থেকে শ্যালোমেশিন দিয়ে দেদারছে অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলন

বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১২, দুপুর ০৩:৫০

জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ, সাদুল্যাপুর ॥ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ঘাঘট নদী থেকে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বালু তোলা হচ্ছে। কতিপয় ব্যক্তি শ্যালোমেশিন দিয়ে নদী থেকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করছেন। উত্তোলন করা বালু মহেন্দ্র, ট্রলি ও ট্রাক্টর যোগে অন্যত্র লাখ লাখ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে ট্রলি, মহেন্দ্র ও ট্রাক্টর চলাচলের কারণে বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সাদুল্যাপুর-নলডাঙ্গা পুরাতন পাকা সড়কের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উত্তর পার্শ্বে ঘাঘট নদীর মাঝে পৃথকভাবে দুটি শ্যালোমেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি প্রভাবশালীদের শেল্টারে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করে আসছেন। নদীর মাঝ খানে শ্যালোমেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ওই বালু পাইপের সাহায্যে দুই হাজার গজ দুরে ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় রবিন্দ্রনাথ নামের এক ব্যক্তি পুকুর ভরাট করার দোহাই দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বালু উত্তোলন করছেন। এছাড়া পার্শ্বে বাণিজ্যিক ভাবে দেদারছে বালু উত্তোলন করছেন বদলাগাড়ী গ্রামের হাসেন আলী। স্থানীয় হামিন্দপুর গ্রামের এলাকাবাসী জানালেন, ওই স্থানে বালু নিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দিন-রাত ট্রলি, মহেন্দ্র ও ট্রাক্টর আসা যাওয়া করে। বালু সরবরাহের একমাত্র পথেই হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। প্রতিদিন বাঁধের উপর দিয়ে কমপক্ষে ৫০ বার ট্রলি, মহেন্দ্র ও ট্রাক্টর আসা যাওয়া করে। প্রতি এক ট্রলি বালু ২৫০ টাকা, ট্রাক্টর ও মহেন্দ ১২৫০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। এ কারণে প্রায় ২ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙ্গে গর্ত ও ধুলায় পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী আরও জানান, বালু উত্তোলন বন্ধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ যেমন সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাবে অন্যদিকে প্রতি বছর বর্ষাকালে আশপাশের ফসলী জমি ও নদীর দুই তীরের ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মওলা বলেন, এসব বালু উত্তোলনের জন্য কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলন করলে সরেজমিন তদন্ত করে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied