আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

“বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ভারত”

সোমবার, ১৭ মার্চ ২০১৪, দুপুর ০৩:৫৯

সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আপনি কেন ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেন?
খালেদা জিয়া: আমরা নীতিগত কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। হিসাবি পদক্ষেপ হিসেবে সাধারণ নির্বাচন তদারকির জন্য নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংবিধানিক ব্যবস্থাসংবলিত যে ত্রয়োদশ সংশোধনীটি সংবিধানে ছিল, সেটি আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালের মে মাসে বাতিল করে এবং এর এক মাস পর সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী আনে। ফলে একটি সংসদ বহাল রেখে সেই সংসদীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবেই আমরা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
শুধু বিএনপিই নয়, বিএনপির পাশাপাশি বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিরোধিতা করে। কারণ নির্বাচনে ব্যাপক মাত্রায় কারচুপির মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমনটা করা হয়েছে বলে তাদের মনে গভীর সন্দেহ সৃষ্টি হয়। এটা বলা যথেষ্ট যে, বাংলাদেশের জনগণ আমাদের অবস্থান সর্বাত্মকরণে সমর্থন করেছে বলে তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
স্পিকার ও বিরোধী দলের নেতাসহ সংসদের মোট আসনের অর্ধেকের বেশি আসনে বর্তমান আওয়ামী লীগের সরকার দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশন ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ জয়ী ঘোষণা করেছে। বাকি আসনগুলোর নির্বাচনের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি অত্যন্ত কম ছিল। ফলে পুরো নির্বাচনটি একধরনের দৃষ্টিকটু প্রহসনে পরিণত হয়েছিল। বিশ্বস্ত সূত্র অনুযায়ী, ওই সব আসনে ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র পাঁচ শতাংশ।
প্রশ্ন: কিন্তু সংসদ নির্বাচন বয়কটের পর বিএনপি কেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে?
খালেদা জিয়া: এর কারণ অত্যন্ত সাধারণ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে আমাদের দাবি ছিল- প্রথমত, সংসদ নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, তখন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে আমরা কিছু বলিনি; দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অর্থাৎ স্থানীয় রাজনীতিবিদরা দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সমর্থন কামনা করলেও প্রকৃত পক্ষে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পূর্ণ নির্দলীয়; তৃতীয়ত, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপ্তি হয় অনেকটাই ছোট, তাই এই নির্বাচন নিরীক্ষণ করা অনেক সহজ। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, স্থানীয় নির্বাচনে একটি দেশের সরকার পরিবর্তন হয় না।
প্রশ্ন: আপনার পরবর্তী চ্যালেঞ্জ কী? আপনি কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সংলাপের পক্ষে?
খালেদা জিয়া: আমাদের এর পরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তথা বিএনপি এবং এর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মসূচির সর্বোচ্চ লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা এবং জনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণে তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি অবাধ ও মুক্তভাবে নির্বাচিত করা নিয়ে তাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা। শেখ হাসিনা কত দিন জনগণের প্রাণের দাবি অগ্রাহ্য করে থাকতে পারবেন? তাকে হয় জনগণের দাবির প্রতি সাড়া দিতে হবে, অন্যথায় তাকে স্বৈরতন্ত্রের আশ্রয়ে থাকতে হবে।
প্রশ্ন: মনে তো হচ্ছে না যে শেখ হাসিনা তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে আর নির্বাচনে যাবেন। আপনি কি বাংলাদেশ শাসন করার সুযোগটি হাতছাড়া করেননি?
খালেদা জিয়া: আওয়ামী লীগের অব্যাহত পাশ কাটানো এবং আপসহীন মনোভাব সত্ত্বেও বিএনপি সবসময় সংলাপের ব্যাপারে ইতিবাচকভাবে সবধরনের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের মতো বিএনপিও বিশ্বাস করে যে, অবাধ-নিরপেক্ষ-বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রধান দলগুলোর মধ্যে অর্থপূর্ণ সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়া অপরিহার্য। আমি উল্লেখ করতে চাই, আমার দল কিংবা আমি বাংলাদেশকে ‘শাসন’ করার ধারণায় বিশ্বাসী নই। আমরা দেশ ও জনগণের সেবায় বিশ্বাসী।
প্রশ্ন: ভারতে অনেকে বিশ্বাস করে যে, আপনি ‘ভারতের বন্ধু’ নন। আপনার ভারতবিরোধী এই ভাবমূর্তি কেন তৈরী হলো?
খালেদা জিয়া: আমি ও আমার দল অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে সব দেশ, বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে বিশ্বাস করি। আমরা আরো বিশ্বাস করি যে, এ ধরনের সম্পর্ক হওয়া উচিত সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত পারস্পরিক কল্যাণ ও শ্রদ্ধার মূলনীতির ভিত্তিতে।
আমাদের ঘনিষ্ঠতম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক। ২০১২ সালের নভেম্বরে ভারত সরকারের আমন্ত্রণে যখন আমি নয়া দিল্লি সফর করেছিলাম তখন আমাকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানানো হয়েছিল। সে সময় আমি ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতিটি পরিমণ্ডলে বিষয়টি বারবার উল্লেখ করেছি। আমার ধারণা, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতার যে আশ্বাস আমি ভারতকে দিয়েছিলাম, সে সময় তা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল।
প্রশ্ন: কিন্তু তারপরও ইউপিএ সরকার শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছে…
খালেদা জিয়া: ভারত এমন একটি দেশ যার গণতন্ত্রের দীর্ঘ ও গর্বিত ইতিহাস আছে। এরই ধারাবাহিকতা হিসেবে ১৯৭১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। বর্তমানে ভারতের উচিত সেই একই অবস্থান গ্রহণ করা। ভোট কারচুপি ও জনগণের প্রত্যাখ্যান করা নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা সরকারকে সমর্থন করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে ভারত নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছে।
প্রশ্ন: নরেন্দ্র মোদি যদি ক্ষমতায় আসেন, সেক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কেমন দেখতে চান আপনি?
খালেদা জিয়া: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক কোনো ব্যক্তি বা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের ভিত্তিতে হওয়া উচিত নয়। এটা হওয়া উচিত দেশ দু’টির জনগণের স্বার্থ আদায় এবং একে অন্যের উপলব্ধির প্রতি সাড়া দেয়ার ভিত্তিতে। ভারতের জনগণই ঠিক করবে, কে তাদের পরিচালনা করবে। আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার জন্য আমরা নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ধারণায় বিশ্বাসী।
প্রশ্ন: হাসিনার সরকারের অভিযোগ- আপনার সরকার দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতীয় জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে।
খালেদা জিয়া: শেখ হাসিনার মন্তব্য ভিত্তিহীন, অসত্য ও স্পষ্টভাবেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ২০১২ সালে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার বৈঠকের সময় আমি তাদের এই আশ্বাস দিয়েছিলাম যে, ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিংবা ভারতের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টি হতে পারে এমন কোনো কাজে বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশ অতীতেও কখনো জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না।
প্রশ্ন: কিন্তু আওয়ামী লীগ দাবি করছে যে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রতি বিএনপি এবং এর প্রধান মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বন্ধুত্বপূর্ণ, যা বাংলাদেশে ইন্তিফাদা সৃষ্টির হুমকি সৃষ্টি করেছে।
খালেদা জিয়া: কোনো সন্ত্রাসী হুমকিই হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। আবার কেউ এই ধরনের কোনো হুমকিকে নিছক রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে, এমনটা হওয়াও উচিত নয়। ‘ব্লেম গেম’ আত্মবিধ্বংসী কাজ। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদকে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করা উচিত। এই হুমকি সমন্বিতভাবে মোকাবেলার প্রস্তুতি থাকা দরকার। আমাদের বহুমাত্রিক সমাজে সন্ত্রাসবাদ বা জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই।
বিএনপি সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানায় এবং এর তীব্র বিরোধী। অতীতে বিএনপি সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে এমন প্রমাণ রয়েছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নতুন নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপের আবির্ভাব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। আর ২০০৫ ও ২০০৬ সালে বিএনপি সরকার এক হাজার ১৭৭ জন সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীকে গ্রেফতার করেছে।
বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দর্শনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নির্বাচনী মিত্রতা। অবশ্য জামায়াত এবং অন্যান্য প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে রাজনৈতিক জোটবদ্ধতার ইতিহাসও রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ মিত্রতার সম্পর্ক রেখেছিল। এই আওয়ামী লীগই ২০০৬ সালে মৌলবাদী দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিল। ওই সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় ফতোয়ার বৈধতাকরণ।
প্রশ্ন: যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দেয়া নিয়ে আন্দোলনটি অত্যন্ত জনপ্রিয় আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্তি দিয়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে বলে সাধারণভাবে বিরাজমান ধারণা কতটা সত্য?
খালেদা জিয়া: আমরা বিশ্বাস করি যে, যে-ই মানবতাবিরোধী অপরাধ করে থাকুক না কেন, তাকে জবাবদিহি করতে হবে এবং তাকে আইনের সামনে হাজির হতে হবে। বিএনপি স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণকারী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করবে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনার ও শেখ হাসিনার মধ্যে ‘টেলিফোনিক’ সংলাপ ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। এটা কি বাংলাদেশের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যকার ব্যক্তিত্বের সঙ্ঘাতকে প্রকট করেনি?
খালেদা জিয়া: টেলিফোন সংলাপটি ছিল দেশের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের একটি বিশেষ সুযোগ। এটাকে সেভাবেই বিবেচনা করা উচিত ছিল। এই আলোচনাটি গণমাধ্যমে প্রচার করে সরকার যা অযথার্থ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং একইসঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
প্রশ্ন: বিএনপি এখন কোন দিকে নজর দিচ্ছে?
খালেদা জিয়া: সবশেষে আমি এটাই বলব যে, দেশে উদ্ভূত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এড়াতে হলে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার ও সুশাসন কায়েম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীল বাংলাদেশ কেবল আমাদের নয়, আমাদের এই অঞ্চলের স্বার্থের জন্যও প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied