আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

শেখ হাসিনার সরকার সত্যিই কি শংকামুক্ত?

রবিবার, ২৩ মার্চ ২০১৪, বিকাল ০৬:১৬

কিন্তু বাস্তবে কি তাই ? দেশের রাজনীতি কি সত্যি সত্যিই সংকটমুক্ত হয়ে গেছে ? ক্ষমতাসীনদের জোরালো আওয়াজে ‘ সংকট ’ কি বাস্তবেই উধাও হয়ে গেছে ? বিএনপি তথা ১৯ দলীয় জোটের ভঙ্গুর দশার কারণে আপাতত আর কোনো অস্থিরতা-অনিশ্চয়তার হাতছানি কি একেবারেই নেই ? এই সরকার কি সত্যি সত্যিই পাঁচ বছর পার করে দেবে ? এমনসব প্রশ্ন আজকাল শোনা যায় দেশের সর্বত্র। কিন্তু প্রশ্নগুলোর জবাব যেন কারোরই জানা নেই।

অবশ্য সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম মনে করেন, জবাব দেওয়ার কেউ থাকুক আর না-ই থাকুক, জনমনে এসব প্রশ্নের উপস্থিতিই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ আজ এক ঘোর অনিশ্চয়তার কবলে নিপতিত।

টেলিভিশন টক শো’র বিশেষ জনপ্রিয় এই আলোচক বলেন, ক্ষমতার দোর্দন্ড প্রতাপে আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোর নেতারা যতোই আত্মবিশ্বাস দেখান না কেন, বাস্তবতা হলো গত ৫ জানুয়ারী দেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে, প্রত্যেক সংসদীয় আসনে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু দেখা গেল যে, কথিত এই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে কোনো ভোটের প্রয়োজন হয়নি। সেসব আসন থেকে যাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে, তারা কেউই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। অন্যদিকে দেশের সংখাগরিষ্ঠ জনগণ তাদের সাংবিধানিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সুতরাং পরিষ্কারভাবেই বর্তমান সরকার একটি অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার। পাঁচ বছর দূরের কথা, দেশের মানুষ এই সরকারকে এক মুহূর্তের জন্যও ম্যান্ডেট দেয়নি। যেহেতু এই সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত বৈধতা নেই, সে কারণেই মন্ত্রী-এমপিরা চড়া গলায় কথা বলে নিজেদের দুর্বলতা আড়াল করার চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশ ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক সালেহউদ্দিন মনে করেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট রাজপথে নেই, সংসদেও নেই। সুতরাং সরকারের সামনে এখন আর কোনো ঝুঁকি বা চ্যালেঞ্জ নেই। ক্ষমতাসীন মহলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের মুখ থেকেও এমন কথাই উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গত ৫ জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সরকার খুব সামান্য সংখ্যক ভোটারকেই নিজেদের পক্ষে টানতে সক্ষম হয়েছে। ওই নির্বাচনের আগে একাধিক জনমত জরিপ এবং বেশ কয়েকটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে পরিষ্কারভাবেই সরকারের ব্যাপক জনসমর্থনহীনতার প্রমাণ পাওয়া যায়। মূলত সে কারণেই আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট নেতারা একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাবে রাজি হননি। দেশী-বিদেশী সকল মহলের সমালোচনা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার সরকার একটি একতরফা ও ব্যাপক বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকবার পথ বেছে নেয়। মূলত সরকারের এমন অনড় অবস্থানের কারণেই গত দেড় বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশে কয়েক শ’ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সালেহউদ্দিন।

তিনি বলেন, সবমিলিয়ে বর্তমান সরকার দাঁড়িয়ে আছে খুবই দুর্বল ভিত্তির ওপর। সাম্প্রতিক উপজেলা নির্বাচনে আবারও পরিষ্কার হয়েছে যে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ এই সরকারকে সমর্থন করছে না। সরকারের তরফে জোর-জবরদস্তি করা না হলে খুব অল্পসংখ্যক উপজেলাতেই হয়তো আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা কোনোমতে বিজয়ী হতে পারতেন। প্রকাশ্যে ব্যাপক কারচুপি সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত অধিকাংশ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের পদগুলোতে বিজয়ী হয়েছেন বিরোধী জোটের প্রার্থীরা। জনসমর্থন হারানোর প্রেক্ষিতে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্থুলভাবে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করছে। বিশেষত: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর ভূমিকা ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরোধী মতের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের গুম হওয়া কিংবা লাশ উদ্ধারের ঘটনা এখন নিত্য-নৈমিত্তিক। সারাদেশে লাখ লাখ ভিন্ন মতাবলম্বী এখন মামলার জালে বন্দী। এভাবে দমন-পীড়ন ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার আন্দোলনের উত্তাপ থেকে বাঁচার কৌশল নিয়েছে। কিন্তু এই কৌশল দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মনে সুপ্ত অসন্তোষ বিরাজমান থাকায় দেশজুড়ে এক ধরণের গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে। বিএনপি তথা ১৯ দলীয় জোটের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে এই মুহূর্তেই হয়তো গণঅসন্তোষের কোনো প্রকাশ দেখা যাচ্ছে না। তবে এ ধরণের গুমোট পরিস্থিতিতে যে কোনো মুহূর্তে নবতর কোনো উপায়ে হঠাৎ গণবিষ্ফোরণের নজির পৃথিবীতে অসংখ্য রয়েছে।

তবে দেশের অবস্থা এখন সম্পূর্ণরূপে স্থিতিশীল বলে মনে করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটের ব্যর্থতার বিষয়টি দেশবাসীর সামনে স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত। মূলত জামাতের মতো একটি অপশক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার কারণেই বিএনপির আজকের পরিণতি। জামাত একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের দল, অন্যদিকে একটি জঙ্গী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠি হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত। এমন একটি ঘৃণিত শক্তির সঙ্গে জোট বাঁধার কারণেই দেশের মানুষ বিএনপিকেও বর্জন করেছে। এর ফল হিসাবেই তাদের আন্দোলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সফলভাবে দেশের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে দেশকে উন্নয়ন ও আধুনিকতার ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে জনগণ এখন শেখ হাসিনার সরকারের ওপর পরিপূর্ণ আস্থাশীল। সুতরাং এখানে নতুন করে আন্দোলন বা অনিশ্চয়তার আর কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। আজকাল

মন্তব্য করুন


 

Link copied