আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

সার্টিফিকেট জালিয়াতি; অধ্যক্ষকে ১৭ লাখ টাকা ফেরত দিতে মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ

সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১২, রাত ১২:২১

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট মহাবিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম এর প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকাসহ তার হাতে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীর ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮১৬ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দিশ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড,রাজশাহী’র কলেজ পরিদর্শকের স্বাক্ষর এবং স্বারক জালিয়াতি করে ২০০১-০২ শিক্ষা বর্ষে ৩ বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার স্বারক নং ০৪/কল/রং/৪০৯/৩০৯৬; তাং ১৩/০১/২০০২ ইং। এ ঘটনার পরেও তিনি এখন বহাল তবিয়তে আছেন। তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন স্থানীয় শিক্ষনুরাগী ব্যক্তিরা।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের পাঠানো তদন্ত টিমের রিপোর্টে বলা হয়, মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট মহাবিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৯৫ সালে। ওই সালেই অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করে সংশ্লিষ্ট কমিটি। সরকারী নিয়েম অনুযায়ী কোন প্রতিষ্টানের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিতে হলে ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ থাকবেন। এই পদে কমপক্ষে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বি এবং প্রভাষক পদে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসহ লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে।

কিন্তু জাহাঙ্গীর আলমের নিয়োগের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। শুধু মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ওই পরীক্ষায় সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন না। ৩ জন প্রার্থী থাকার নিয়ম থাকলেও অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেন মাত্র ২ জন। এর একজন হলেন বর্তমান অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম।

সংশ্লিষ্ট স্কুল এবং কলেজ থেকে জানা গেছে, অধ্যক্ষ জাহাঙ্গির আলম ১৯৭৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে মিঠাপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ১৯৭৮ সালের এইচ এসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে পীরগাছা কলেজ থেকে পরীক্ষ দিয়ে ৩য় বিভাগ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এছাড়াও ১৯৮২ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৩ স্নাতকোত্তর পাশ করেন। ওই সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি কলেজের ব্যান বেইজ পাঠায়। জানা গেছে, এসএসসি ও এইচএসসিতে ৩য় বিভাগ থাকায় অন্য সবার বেতন আসলেও বর্তমান অধ্যক্ষ জাহাঙ্গির আলমের বেতন তখন আসেনি। ওই সময় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন। জাহাঙ্গীর আলমের সার্টিফিকেট ২টিতে ৩য় বিভাগ থাকায় তিনি তার ব্যান বেইজে স্বাক্ষর করেননি।

পরে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে এসএসসি এবং এইচএসসিতে ২য় বিভাগ দেখিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ২০০০ সালের মে মাসের ২২ তারিখে বেতনের জন্য ব্যান বেইজ পাঠায়। এর পর ২০০১ সাল থেকে তিনি বেতন উত্তোলন করে আসছেন।

২০০০ সালের সেপ্টম্বর মাসে কলেজটি এমপিও ভুক্তি হয়। এবং ওই সাল থেকেই বেতন ভাতা শুরু হয়। এরপর ওই অধ্যক্ষ ২০০১-০২ শিক্ষা বর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর কলেজ পরিদর্শক এসে সমাজ বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা এং ইসলাম শিক্ষা বিষয় চালু করার অনুমতি দেন। যার স্বারক নং ০৪/কল/রং/৪০৯/৩০৯৬; তাং ১৩/০১/২০০২ ইং।

কিন্তু তিনি স্বাক্ষর এবং স্বারক জালিয়াতি করে কৃষি শিক্ষা, কম্পিউটার এবং প্রকৌশল ও অংকন বিষয় অনুমোদন নেন। যার স্বারক নং ০৪/কল/রং/৪০৯/৩০৯৬; তাং ১৩/০১/২০০২ ইং। পরে তিনি আবার ওই তিন বিষয়ে অনুমতির জন্য আরেকটি ভুয়া স্বারক নম্বর দিয়ে সাবজেক্ট খোলার অনুমতির আবেদন দেখায় যার নং- ৪/কল/রং/৪০৯/৭০৯৭২; তাং-৬/৩/২০০৩ইং।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি না থাকলেও তিনি অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তারা আজ পর্যন্ত বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৭ জুলাই শিক্ষা পরিদর্শক বেনজির আহমেদ এবং শাহানা আহমেদ কলেজ পরিদর্শনে এসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে ওই সালের ১৪ জুন একটি প্রতিবেদন দেন।

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিদর্শণ ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর এর পরিচালক প্রফেসর মোঃ আলী আকবর এবং একই মন্ত্রনালয়ের উপ-পরিচালক এ এফ এম নরুল হুদা স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের সার্টিফিকেট ভুয়াসহ ১২ টি অনিয়ম ছাড়াও বলা হয়- ‘‘কলেজটির শেষ স্বীকৃতির মেয়াদ ২০০১ সালের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। ৮ জন প্রভাষক, ১ জন করণিক ও ১ জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়েছেন।’’

সে কারণে ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮১৬ টাকা ফেরতসহ তাকে কারণ দর্শনারও চিঠি দেয়া হয়েছে। এসব অনিয়ম দুর্নীতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাদ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে চলতি বছরের ৮ই এপ্রিল লিখত অভিযোগ করেছেন ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ডা.আব্দুল মালেক। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied