আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন       নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু       কিশোরীগঞ্জে পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে এক ব্যাক্তির রহস্যজনক মৃত্যু       উপজেলা নির্বাচনে জাপার প্রার্থী হতে চান না কেউ      

 width=
 

১৮, সাড়ে ১৮, নাকি ১৯ দলীয় জোট!

রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৪, দুপুর ০৩:৩৭

ডেস্ক: বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ১৮ দলীয় নাকি ১৯ দলীয়। এ নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। কারণ গত ৩১ মার্চ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক। জোট ছাড়ার কারণ হিসেবে তখন তিনি দল গোছানোকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি জোট নেতাকে অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়টি অবগত করারও কথা বলেছিলেন। সে হিসেবে ওইদিন থেকে বিএনপি জোট ১৮ দলীয় হওয়ার কথা থাকলেও এখনো ১৯ দলীয় জোটই বলা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ক্ষুদ্র অংশকে নিয়ে শেখ আনোয়ারুল হক চলে গেলেও ন্যাপের একটি বড় অংশ বিএনপির সঙ্গেই আছে। যার নেতৃত্বে আছেন ন্যাপ নেতা অ্যাডভোকেট আজহারুল হক। যিনি নিজেকে ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করেন। এমনকি বৃহস্পতিবার রাতে জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকেও তিনি উপস্থিত ছিলেন।এ নিয়ে জোটের মধ্যে নানা বিতর্ক চলছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১৯ দলীয় জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে।  বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে এ জোটের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন।  পরে এই জোটে শরিক হয় জাতীয় পার্টির (একাংশ) কাজী জাফর আহমেদ যোগ দেন।  এতে  বিএনপি জোট ১৯ দলে রূপান্তরিত হয়। ন্যাপ ভাসানী ছাড়া বিএনপি জোটের অন্য দলগুলো হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাতীয় পার্টি (জাফর) মুফতি আবদুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট, মো. ইসহাকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস, কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, শফিউল আলম প্রধানের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, মেজর জেনারেল (অব.) মুহম্মদ ইবরাহিম নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে কল্যাণ পার্টি, শেখ শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাপ, খন্দকার গোলাম মুর্তজার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ লেবার পার্টি, কামরুজ্জামান খানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ,  আবদুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, অলি আহাদের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক লীগ, মাওলানা আব্দুল মুমিনের নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও গরিব নেওয়াজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ পিপলস লীগ। ন্যাপ ভাসানী জোট থেকে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার দিন অর্থাৎ ৩১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান সংবাদিকরা। তখন তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। জেনে আপনাদের বলতে পারবো।” এরপর শুরু হয় বিএনপি জোট ভেঙে যাচ্ছে এমন গুজব। অভিযোগ ওঠে, নেতাকর্মী ও সমর্থক কম থাকলেও জোটের ছোট দলগুলো বিএনপির কাছ থেকে মূল্যায়ন পায় না। এ নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে কথা না বললেও শুরু থেকেই ছোট দলগুলোর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে। বিএনপির কয়েকজন মধ্যম সারির কয়েকজন নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তারা বলেন, যেহেতু জোট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি, সুতরাং এখনো ১৯ দলীয় জোটই আছে।১৮ দল বলার সুযোগ নেই। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে জোটের বৈঠকের যে ছবি গণমাধ্যমে পাঠানো হয় তাতেও ১৯ দলের বৈঠকের কথা উল্লেখ করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের এমন একজন শীর্ষ নেতা বলেন, অ্যাড. আজহারুল ইসলাম নামে একজন নেতা ন্যাপ ভাসানীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন।একই সঙ্গে তিনি বৈঠকে বলেন, “শেখ আনোয়ারুল হক একটি ক্ষুদ্র অংশকে নিয়ে চলে গেছে।” ওই নেতা বলেন, “আসলে ওই নেতাকে আমি এর আগে কোনো দিন দেখি নাই।” জোটের আরেক শরিক দলের নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ভাই আমরা এসব বুঝি না। এখন বিএনপি যদি কাউকে এনে বসিয়ে দেয় আর বলে এই নেতাই ন্যাপ ভাসানীর প্রতিনিধি- সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার নেই।” ওই নেতা কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এখন এটাকে কত দলীয় জোট বলবো তাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

মন্তব্য করুন


 

Link copied