কুরবান আলী, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরে ৫ম স্ত্রীকে নিতে এসে বিয়ে পাগল এক পুলিশ কনেস্টবল জনতার হাতে আটক হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব বলরামপুর গ্রামের মোঃ নুরুজ্জামানের কন্যা আয়শা আকতার (২০)কে নিতে আসেন তার স্বামী নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার রামকলা গ্রামের আকবর আলীর পুত্র ও ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কর্মরত কনষ্টেবল (১৯৮০৩) মোঃ মসলেম উদ্দীন (৩৮)।
গত ১৩ মার্চ পারিবারিকভাবে উভয়ের বিয়ে হয়। মসলেমের শ্বশুরবাড়ীতে আসার ঘন্টাখানেক পর চতুর্থ স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে সেখানে হাজির হন নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার দেউশপিনা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলামের কন্যা বিথী আকতার। বিথী আয়শাকে জানান, তিনি মসলেমের ৫ম স্ত্রী। ঘটনাটি নতুন বউ আয়শা আকতারের পরিবার প্রতিবেশীদের জানালে এলাকাবাসী বিয়ে পাগল মসলেমকে আটক করে রাখে।
চতুর্থ স্ত্রী বিথী আকতার জানান, তার চাচাতো ভাই মোঃ ফারুক হোসেন এবং মসলেম একই সাথে পুলিশে চাকুরী করে। সে সুত্রে ধরে পরিচয় এবং প্রেম তারপর বিয়ে। ইতিপূর্বে সে রাজশাহীর বুলবুলী নামের এক জনকে বিয়ে করে। এরপর শিউলি আকতার নামে আরেক জনকে বিয়ে করে। এরপর নিজ গ্রামের মোছাঃ জুলেখা বেগমকে বিয়ে করে। এরপর রাজশাহীতে বিথীকে নিয়ে এসে বিয়ে করে এবং বদলি হয়ে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তৃতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগম মামলা করে এবং মামলাটি এখনো বিচারাধীন রয়েছে।
তবে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মসলেম উদ্দিন একাধিক বিয়ের কথা স্বীকার করলেও বিথীকে তাঁর স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন। নিজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খালেক সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আলিমুদ্দিনকে মৌখিক ভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী বিয়ে পাগল মসলেমকে আটক করে রেখেছে।