আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

নৌ মন্ত্রীর ঘোষণার এক বছর ;বাস্তবায়ন হয়নী চিলাহাটী শুল্কষ্টেশন ও স্থল বন্দর

বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৩, দুপুর ০৩:০১

নীলফামারী: নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর ঘোষণার এক বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলাধীন

ষাটের দশকে বৃহত্তর রংপুরের মার্চেন্ট সমিতির সদর দপ্তর ছিলো চিলাহাটী। এখানে ভারতের সাথে ছিলো রেল ও সড়ক যোগাযোগ। প্রয়োজনের তাগিদে তখন সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় চিলাহাটী শুল্ক ষ্টেশন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অংশের রেল লাইন উপরে ফেলা হয়। ফলে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। শুল্ক ষ্টেশনটি বাংলাদেশ স্বাধীনের পরেও চালু ছিলো। পরবর্তীতে তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকে। ব্যবসা বাণিজ্যের সুবিধার্থে শুল্ক-ষ্টেশন এবং স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার দাবী গণদাবীতে পরিণত হয়। এরই আলোকে মহাজোট সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান গত বছরের ১৯ জুন চিলাহাটী আসেন। এ সময় ঘটা করে এক জনসভায় তিনি ঘোষণা দেন-চিলাহাটীতে স্থলবন্দর স্থাপন করা হবে। সেই সাথে তিনি শুল্ক-ষ্টেশনের উদ্বোধন করেন। কিন্তু তার প্রতিশ্রুতির এক বছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি তা আজো কার্যকর হয়নি।

বাংলাদেশ-ভারত রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৯৭ সালে চিলাহাটী থেকে ভারতের হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ পুনঃ-স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশ অংশে ৮ দশমিক ১০ কিলোমিটার রেল-লাইন স্থাপনের জন্য সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও গত ১৬ বছরেও এ অর্থ মিলেনি। অত্র জেলার প্রায় দুশ আমদানি এবং রপ্তানিকারক এলসির মাধ্যমে দর্শনা,সোনা মসজিদ,বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পন্য আমদানি-রপ্তানি করছে। চিলাহাটী স্থলবন্দর চালু হলে ৪০ শতাংশ পরিবহন খরচ সাশ্রয় হবে। একটি পূর্নাঙ্গ স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন শুল্কচেকপোষ্ট,ইমিগ্রেশন অফিস,ব্যাংক,বীমা,রেল,সড়ক,টেলিযোগাযোগসহ অবকাঠামোগত সকল সুযোগ-সুবিধা এখানে রয়েছে।

সকল সম্ভাব্যতা যাচাই-বাচাই করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান চিলাহাটী শুল্ক-ষ্টেশন ও স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। অথচ তার ঘোষণার এক কছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি এর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। চিলাহাটী শুল্ক-ষ্টেশন ও স্থলবন্দর বাস্তবায়ন হলে ভারত,নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত ব্যবসা প্রসারিত হবে। সেই সাথে জেলার উত্তরা ইপিজেট-এর প্রাণ সঞ্চার হবে। আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এবং অর্থনীতিতে এক নতুন দ্বার উন্মোচন হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied