আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরের আলু যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে       গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!       চার ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

নৌ মন্ত্রীর ঘোষণার এক বছর ;বাস্তবায়ন হয়নী চিলাহাটী শুল্কষ্টেশন ও স্থল বন্দর

বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৩, দুপুর ০৩:০১

নীলফামারী: নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর ঘোষণার এক বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলাধীন

ষাটের দশকে বৃহত্তর রংপুরের মার্চেন্ট সমিতির সদর দপ্তর ছিলো চিলাহাটী। এখানে ভারতের সাথে ছিলো রেল ও সড়ক যোগাযোগ। প্রয়োজনের তাগিদে তখন সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় চিলাহাটী শুল্ক ষ্টেশন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অংশের রেল লাইন উপরে ফেলা হয়। ফলে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। শুল্ক ষ্টেশনটি বাংলাদেশ স্বাধীনের পরেও চালু ছিলো। পরবর্তীতে তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকে। ব্যবসা বাণিজ্যের সুবিধার্থে শুল্ক-ষ্টেশন এবং স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার দাবী গণদাবীতে পরিণত হয়। এরই আলোকে মহাজোট সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান গত বছরের ১৯ জুন চিলাহাটী আসেন। এ সময় ঘটা করে এক জনসভায় তিনি ঘোষণা দেন-চিলাহাটীতে স্থলবন্দর স্থাপন করা হবে। সেই সাথে তিনি শুল্ক-ষ্টেশনের উদ্বোধন করেন। কিন্তু তার প্রতিশ্রুতির এক বছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি তা আজো কার্যকর হয়নি।

বাংলাদেশ-ভারত রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৯৭ সালে চিলাহাটী থেকে ভারতের হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ পুনঃ-স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশ অংশে ৮ দশমিক ১০ কিলোমিটার রেল-লাইন স্থাপনের জন্য সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও গত ১৬ বছরেও এ অর্থ মিলেনি। অত্র জেলার প্রায় দুশ আমদানি এবং রপ্তানিকারক এলসির মাধ্যমে দর্শনা,সোনা মসজিদ,বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পন্য আমদানি-রপ্তানি করছে। চিলাহাটী স্থলবন্দর চালু হলে ৪০ শতাংশ পরিবহন খরচ সাশ্রয় হবে। একটি পূর্নাঙ্গ স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন শুল্কচেকপোষ্ট,ইমিগ্রেশন অফিস,ব্যাংক,বীমা,রেল,সড়ক,টেলিযোগাযোগসহ অবকাঠামোগত সকল সুযোগ-সুবিধা এখানে রয়েছে।

সকল সম্ভাব্যতা যাচাই-বাচাই করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান চিলাহাটী শুল্ক-ষ্টেশন ও স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। অথচ তার ঘোষণার এক কছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি এর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। চিলাহাটী শুল্ক-ষ্টেশন ও স্থলবন্দর বাস্তবায়ন হলে ভারত,নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত ব্যবসা প্রসারিত হবে। সেই সাথে জেলার উত্তরা ইপিজেট-এর প্রাণ সঞ্চার হবে। আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এবং অর্থনীতিতে এক নতুন দ্বার উন্মোচন হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied