আর্কাইভ  শনিবার ● ১১ মে ২০২৪ ● ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ১১ মে ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এএসআই নিহত, এসআই হাসপাতালে       রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ শুরু       তিস্তা নিয়ে ভারত-চীন প্রতিযোগিতা       ঠাকুরগাঁওয়ে উপজেলা নির্বাচনে আনারস ও মোটরসাইকেল মার্কার জয়      

 width=
 

লংমার্চে খালেদা জিয়ার অভাব

বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৪, দুপুর ১০:৪৭

এরমধ্যে তিনটিতে বেশ ভালো উপস্থিতি চোখে পড়লেও বাকিগুলোতে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষর উপস্থিতি খুব বেশি চোখে পড়েনি। পথে পথে ছিল না কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ। তবে এজন্য নানা কারণের কথাও বলেছেন দলটির নেতারা। তবে লংমার্চের প্রথম দিনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম দাবি করেছেন, “পথসভাগুলোতে বিপুল জনসমাগম হয়েছে। আশা করি, শেষের দিন বিপুল লোকসমাগমের মধ্যে কর্মসূচি সফলভাবে শেষ হবে।” মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে লংমার্চ শুরু করে বিএনপি। কর্মসূচি শুরুর পর প্রথমে সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির খান। এতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। তবে এই পথসভাতে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের তেমন উপস্থিতি দেখা যা্য়নি। একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে টাঙ্গাইলের বাইপাস মোড়ের দ্বিতীয় পথসভায়। এখানকার কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুসহ কয়েকজন স্থানীয় নেতার সমর্থকদের দেখা গেছে। তৃতীয় পথসভাটি অনুষ্ঠিত হয় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে। সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হোসেন মাহমুদ টুকুসহ স্থানীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি লংমার্চের বাকি অংশে যোগ দেয়নি বলে জানা গেছে। চতুর্থ পথসভাটি হয় বগুড়ার মাটিঢালি মোড়ে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি জয়নুল আবদিন চাঁন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শুরু হওয়া এই পথসভায় মির্জা ফখরুল বক্তব্য দেন বিকেল চারটার দিকে। তবে বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত এই এলাকায়ও খুব বেশি উপস্থিতি দেখাতে পারেনি দলটি। তবে পরে বিকেলের দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়িতে যে দুটি পথসভা হয়েছে তাতে বেশ ভালোই লোকসমাগম চোখে পড়েছে। এদিকে বিএনপি ঘোষিত আগের কর্মসূচি গুলোতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যেসব সড়ক প্রদক্ষিণ করতেন তাতে নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেত। পাশাপাশি রঙ-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে নিজ নিজ এলাকা সাজিয়ে রাখতেন। তবে এবারের পরিস্থিতি পুরো উল্টো। লংমার্চের সমর্থনে ঢাকা টু রংপুরের কয়েকটি স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন চোখে পড়েছে। লংমার্চ নিয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয়। দলটির একজন সম্পাদক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “তিস্তা ইস্যুতে লংমার্চে দলের চেয়ারপারসনের নেতৃত্ব দেয়া দরকার ছিল। তিনি থাকলে পরিস্থিতি পাল্টে যেত। তখন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের মধ্যে প্রচার প্রচারণাসহ লোকসমাগম করা নিয়ে প্রতিযোগিতা হতো।” দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “এই অঞ্চলের জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা অসংখ্য মামলায় জর্জরিত। অনেকে এলাকায় আসতে পারছেন না। তাই হয়তো উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে। তবে শেষ দিন এমন অবস্থা থাকবে না।” ঢাকা থেকে লংমার্চে আসা কয়েকজন মধ্যম সারির নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তারা কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যে কাজে যাকে প্রয়োজন সে না হলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। নেত্রীর (খালেদা জিয়া) কাজ মহাসচিবকে (মির্জা ফখরুল) দিয়ে হবে না। তাই হয়েছে।” তবে কেউ কেউ গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমের কারণে লোকজন সেভাবে লংমার্চে যোগ দিতে পারেনি বলে দাবি করেন। লংমার্চে আসা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড.ওসমান ফারুক বলেন, “প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও যেভাবে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছে তাতে সন্তোষজনক। তবে ম্যাডামের বিষয়টি ভিন্ন।” এদিকে বিএনপির এই কর্মসূচিতে ১৯ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন ছাড়া শরিক দলের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied