সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের আয়তন ২শ ৩ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। কিন্তু সে হিসেবে মাত্র একটি থানা আর ৩টি ফাঁড়ি দিয়ে কোনো রকমে চলছে আইনশৃংখলা কার্যক্রম। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারিসহ ৫টি মেডিকেল কলেজ, ৩টি সরকারি কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা বর্তমান আইনশৃংখলা বাহিনীর জনবল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর ওপর নগরীর নতুন এলাকা সম্প্রসারিত হওয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রয়োজনের তুলনায় যৎসামান্য পুলিশ বাহিনী নিয়ে এই নগরবাসীর নিরাপত্তা দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ফলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা, অপরাধীর সংখ্যা এবং গুম, খুন, চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েছে আশংকাজনকভাবে। এমন পরিস্থিতে রংপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট গঠন বা স্থাপন করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে বলে খোদ আইনশৃংখলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। এসব বিষয় বিবেচনা করে রংপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাবনা তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে রংপুর পুলিশ প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী রংপুরকে মেট্রোপলিটন সিটি হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা প্রদান করে প্রয়োজনীয় ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন। শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করলেই তা কার্যকর করা সম্ভব বলে জানা গেছে।
রংপুর পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রংপুরকে বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন করার পর রংপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট গঠনের জন্য রংপুরের পুলিশ প্রশাসন একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে। মহানগর ও এর আশপাশের এলাকা নিয়ে ৬টি থানা গঠন করে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে প্রেরণ করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এতে ২শ ৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে রংপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট গঠন করার কথা। প্রস্তাবিত ৬টি থানা হল- কোতোয়ালি, হাজীরহাট, পরশুরাম, তাজহাট, মাহীগঞ্জ ও হারাগাছ।
এ ব্যাপারে রংপুরের পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রংপুর সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর এর পরিধি অনেক বেড়েছে কিন্তু আনুপাতিকহারে আইনশৃংখলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়েনি। তবে সব দিক বিবেচনা করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট গঠন এবং প্রয়োজনীয় জনবল চাহিদাসহ অবকাঠামো নির্মাণ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।