আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি       রংপুর বিভাগে আসছেন ভূমিমন্ত্রী       রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত       রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়       যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী      

 width=
 

দুর্দিন কাটছেই না পপির

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৪, বিকাল ০৭:০২

পপির ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো- কুলি, আমার ঘর আমার বেহেশত, লুটতরাজ, বিদ্রোহ চারিদিকে, কারাগার, দু’জনে, রানী কুঠির বাকি ইতিহাস, জানের জান, মেঘের কোলে রোদ, ক্ষ্যাপা বাসু, বিশ্ব বাটপার, দরিয়া পাড়ের দৌলতী, গঙ্গাযাত্রা, বস্তির রানী সুরিয়া, বিষাক্ত চোখ, প্রেম করেছি বেশ করেছি, বিদ্রোহী পদ্মা, কি যাদু করিলা ও গার্মেন্টস কন্যা। ২০১২ সালে পপি অভিনীত সর্বশেষ ‘গার্মেন্টস কন্যা’ ছবিটি মুক্তি পায়। ছবিটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ইমন। এ যাবৎ পপি ওমর সানী, রিয়াজ, মান্না, শাকিব খান, ফেরদৌসসহ দেশী-বিদেশী বহু নায়কের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। আর এসব ছবিতে দর্শকের ভাল লাগাসহ জয় করেছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। তিন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন পপি। পপি অভিনীত পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবিগুলো হলো, কালাম কায়সারের পরিচালনায় ‘কারাগার’ (২০০৩), নার্গিস আক্তারের পরিচালনায় ‘মেঘের কোলে রোদ’ (২০০৮) এবং অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের পরিচালনায় ‘গঙ্গাযাত্রা’ (২০০৯)।

তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই তারকা নায়িকা অনেকদিন ধরেই পর্দায় অনুপস্থিত। অনেকেই বলছেন, চিত্রনায়িকা পপির ক্যারিয়ারে এখন দুর্দিন চলছে। কোনভাবেই তিনি নিজেকে দাঁড় করাতে পারছেন না। গত দু’বছরেও নতুন কোন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেননি। তাই তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রীর দিনগুলো অনেকটা হতাশা ও শঙ্কার মধ্য দিয়েই কাটছে। তবে তার এ অবস্থার কারণ হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনকেই দায়ী করছেন তিনি।

পপি বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে বছরে শতাধিক ছবি মুক্তি পেতো। কিন্তু ইদানীং বাণিজ্যিক ছবির মুক্তির সংখ্যা ২০টিরও নিচে নেমে এসেছে। তাছাড়া দিনকে দিন দেশীয় চলচ্চিত্র উন্নতির বদলে অবনতির দিকে যাচ্ছে। ডিজিটাল ছবির নামে ইদানীং নিম্ন বাজেটের অসংখ্য ছবি নির্মাণ হচ্ছে। গল্প ও নির্মাণশৈলীতেও কোন বৈচিত্র্য পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এ ধরনের ছবিতে আমার অভিনয়ের মোটেও ইচ্ছা নেই।

প্রায়ই ছবির প্রস্তাব পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বলতে পারেন প্রতিদিনই আমি নতুন নতুন ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পাচ্ছি। কিন্তু এসব ছবির বাজেট ও গল্পের সঙ্গে কোনভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছি না। আর তাইpopy ওইসব ছবিতে চুক্তিবদ্ধও হচ্ছি না। আমি সব সময়ই ভাল মানের ছবিতে কাজ করে আসছি। কিন্তু ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসে কাজের মান খারাপ করতে চাই না।

তিনি আরও জানান, ইদানীং ছবির গল্প যাচ্ছেতাই হচ্ছে। বাজেটের অবস্থাও খুবই শোচনীয়। শিগগিরই এ অবস্থার অবসান ঘটা উচিত। তা না হলে চলচ্চিত্রাঙ্গনে ধস অনিবার্য।

এদিকে অনেক আগেই বেশ ক’টি ছবির শুটিং শেষ করে রেখেছিলেন পপি। এসব ছবির মধ্যে রয়েছে জাহিদ হোসেনের ‘লীলামন্থন’, নার্গিস আক্তারের ‘পৌষ মাসের পিরিতি’, ‘শর্টকাটে বড়লোক’ সাদ্দাম হোসেন মাসুমের ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’, জাকির হোসেনের ‘চার অক্ষরের ভালোবাসা’ ও কামরুজ্জামান কামুর ‘দ্য ডিরেক্টর’। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সেগুলোর মুক্তির নাম গন্ধও নেই। পরিচালকরাও এ ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এ নিয়েও বেজায় ক্ষুব্ধ পপি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied