আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরের আলু যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে       গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!       চার ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

ডিমলায় শিক্ষকের পিটুনীতে হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী; প্রশাসনে তোলপাড়

বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৩, রাত ১১:২৯

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ বুধবার দুপুরে হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে গিয়ে শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এ সময় ছাত্রীটি নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ করে বলেন প্রধান শিক্ষক কে সে বারবার বলছিল “স্যার আমি কোন দোষ করি নাই, আমাকে আর মারেন না স্যার, আমি পানি খাব স্যার” কিন্তু স্যার তার কোন কথাই কর্ণপাত না করে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিটাতে থাকে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মেয়েটি জানায়, ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের পশ্চিম শালহাটী রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে ৪র্থ শ্রেণীতে কার কত রোল হয়েছে এটা জানার জন্য গত রবিবার ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু রোল জানাতে দেরী হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয় মাঠে খেলা-ধুলা করতে গিয়ে কয়েক জনের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়। এ ঝগড়ার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ১০ বছর বয়সী ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী মনিরা বেগমকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেদম প্রহার করতে থাকে। এ সময় মনিরা প্রধান শিক্ষকের পা ধরে আর মারতে নিষেধ করে পানি খেতে চাইলে তাকে পানি পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি। এক পর্যায় ছাত্রীটি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তাকে শ্রেণীকক্ষে নিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়। বিকেল ৪টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে তাকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় ওই শিক্ষক ছাত্রীটিকে হুমকি দিয়ে বলে, “এ ঘটনার কথা বাড়ীতে বললে তোমাকে স্কুল থেকে বের করে দিব। শিক্ষকের হুমকিতে সে ঘটনার বিষয় বাড়ীতে কাউকে জানায়নি। তবে প্রধান শিক্ষকের বেধড়ক পিটুনির কারণে সেদিন রাতে ছাত্রীটির শরীরে প্রচন্ড ব্যাটা,জ্বর ও বমি শুরু হলে ঘটনার বিষয়টি বাবা-মাকে খুলে বলে। পরদিন সকালে ছাত্রীটির বাবা দিনমজুর ওয়াজেদ আলী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে তার মেয়েকে পিটানোর জবাব চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক তাকে গালিগালাজ করে বিদ্যালয় থেকে তাড়িয়ে দেয়। এদিকে চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে হাসপাতালে নিতে চাইলে ওই প্রধান শিক্ষককের আত্মীয় শালহাটী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক তহিদুল ইসলাম বাঁধাসহ হুমকি দিতে থাকে। তবে ছাত্রীটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এলাকার সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফাইমা বেগমের সহযোগিতায় মঙ্গলবার রাতে মনিরা আক্তারকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে ঘটনাটি এলাকায় প্রচার হয়ে পড়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রাফা মহম্মদ আরিফ সাংবাদিকদের বলেন হাসপাতালে ছাত্রীটিকে দেখে তার অভিযোগ শোনার পর পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নজরুর ইসলামের সাথে কথা বলা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রী বেয়াদবী করেছে তাই মেরেছিলাম।

মন্তব্য করুন


 

Link copied