আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি       শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল       নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার      

 width=
 

খুনিরা কারা?

মঙ্গলবার, ৬ মে ২০১৪, সকাল ০৯:০০

সর্বপ্রথম আমরা নারায়ণগঞ্জের ওই অপহরণ ও হত্যার বিষয়ে কিছু ঘটনা ও তথ্য বিবেচনা করতে পারি- ১. কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ওই সাতজনকে গত রোববার প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্যস্ততম সড়ক থেকে গাড়িসহ অপহরণ করা হয়। ২. কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অপহরণের এ খবর গণমাধ্যম প্রচার হয়। ৩. পুলিশ তাদেরক উদ্ধার করতে পারেনি। কিন্তু ওইদিনই গাজীপুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। ৪. অপহরণের তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অপহৃত সাত ব্যক্তির ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ৫. অপহৃতদের হত্যা করা হয় এবং একইভাবে তাদের মৃতদেহ নদীতে ফেলা হয়। নদীতে ফেলার আগে হত্যাকারীরা নিহতদের পেট ফেড়ে দেয় এবং দেহের সাথে বস্তাবন্দি ইট বাঁধে। নিহতদের চোখ বাঁধা ছিলো এবং তাদের হাত ও পা দড়ি দিয়ে খুব শক্ত করে বাঁধা ছিলো। এখন আমরা কিছু প্রশ্ন দাঁড় করাতে পারি : ১. প্রকাশ্যে দিবালোকেও কেন আইনপ্রয়োগকারীরা অপহরণকারীদের গাড়ি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে? ২. অপহরণের এই সংবাদ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পরও কেন অপহরণকারীরা তাদের হত্যার পরিকল্পনা বাদ দেয়নি? ৩. কে প্রধান লক্ষ্য ছিলো? বাকিদের কেন খুন করা হলো? ৪. নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড কোনোকিছু ইঙ্গিত করে কি? প্রাপ্ত তথ্য ও প্রশ্নগুলো নিয়ে আমরা মুখোমুখি হয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অপরাধতত্ব বিভাগের শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমানের। তিনি বলেন, “স্পষ্টতই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কারণে অপহৃতদের উদ্ধারে যথেষ্ট তৎপর ছিলো না। দ্বিতীয়ত, অপহরণকারীরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলো, এই কারণে তারা দিনের বেলায় ব্যস্ততাপূর্ণ এলাকা থেকেও অপহরণের পরিকল্পনা নেয়।  তৃতীয়ত, তারা হত্যা করে মৃতদেহগুলো নদীতে ভাসিয়ে দেয়। কারণ অপহরণের পর তারা তেমন কোনো ফলপ্রসু চাপ পায়নি, অথবা যেকোনো ধরনের চাপ কাটিয়ে ওঠার সক্ষমতা তাদের ছিলো। উপরন্তু, আমি মনে করি, এ রকম নৃশংস খুনের মাধ্যমে তাদের পেশিশক্তি ও খুটির জোর পরিলক্ষিত হয়েছে।” হাফিজুর রহমান আরো বলেন, “এই  দৃশ্যবিবরণীগুলো ঘটনার কারণ উদঘাটন করে যে, অপহরণকারীরা তাদের পুরো কাজটি করে শক্তিশালী কোনো খুঁটির জোরে, এবং ওই খুঁটিটি খুব শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে।”

তিনি বিশ্বাস করেন, অপরাধীদের কাছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলো প্রধান লক্ষ্য। আর বাকি ছয়জন ওই ঘটনার শিকার হয়েছেন।

“অপহরণকারীরা খুবই ক্ষমতাধর এবং দৃঢ়সংকল্প। এই জন্যই কাউন্সিলরসহ সবাইকে অপহরণ ও হত্যার সাহস করেছে। আর ওই অপহরণকারীরা ছিলো উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।”

নারায়ণগঞ্জের ওই অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে  মানবাধিকার সংগঠন 'আইন ও শালিস কেন্দ্র'। তদন্ত পরিচালক নুর খান বলেন, ''তদন্ত চলছে, কিছু তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করে এই অপহরণ ও খুনের ঘটনাকে মনে হয়েছে, সংগঠিত, দক্ষ ও সুশৃঙ্খল দলের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।'  এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। নিউজ ডট কম থেকে অনূদিত

মন্তব্য করুন


 

Link copied