বুধবার, ৭ মে ২০১৪, দুপুর ০১:০৩
জানা গেছে, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র আনোয়ারুল ইসলাম রানা গত শনিবার বিদ্যালয় থেকে না ফেরায় পিতামাতা আতংকিত হয়ে পড়ে। ছেলে বাড়িতে না ফেরায় ঐ রাতেই তার পিতা মোজাম্মেল হক ছেলের ঘনিষ্ট সহপাঠি রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি গ্রামের শিলুর বাড়িতে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে শিলু তার সহপাঠির পিতাকে রানার অবস্থান না জানিয়ে সে নিরাপদে আছে বলে জানায়। এমনকি সে একদিন পর বাড়িতে ফিরে আসবে বলেও আশ্বস্থ করে তার পিতাকে। এ কারণে রানার পিতা বিষয়টি স্থানীয় থানায় অবহিত করেননি। এদিকে, ঘটনার ৩ দিনের মাথায় রানার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার পিতার কাছে মুক্তিপণ দাবি করলে বিষয়টি অপহরণ বলে নিশ্চিত হয় রানার পিতা। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে তার পিতা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি গ্রামের সহপাঠি শিলুর বাড়িতে যায়। সেখানে তাকে না পেয়ে তার পিতা আব্দুল হামিদকে নিয়ে আসে। জিঙ্গাসাবাদে তিনি শিলু লালমনিরহাটে অবস্থান করছে বলে জানায়। কিন্তু রাতে শিলুর মোবাইলে কৌশলে কথোপকথোনে পুলিশ নিশ্চিত হয় সে উলিপুরের পান্ডুল ইউনিয়নে অবস্থান করছে। রাতেই সাড়াশি অভিযান চালিয়ে শিলুকে পান্ডুলে তার মামার বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখার সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত থানায় রেখে পিতা ও পুত্রকে জিঙ্গাসাবাদ করছিল পুলিশ। ইতিপূর্বে রানা আরও একবার তিন বন্ধু মিলে অন্তর্ধানে যায় এবং তিন দিন পর ফিরে আসে। উলিপুর থানার ওসি জানান, রানাকে উদ্ধারে পুলিশের সব ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে এটা অপহরণ না অন্তর্ধান তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম