আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

মাছ বৃষ্টি

বুধবার, ৭ মে ২০১৪, বিকাল ০৭:১০

তাহমিন হক ববি

সেদিন ওই গ্রামে আকাশে মেঘ জমে বৃষ্টি নেমে আসে। কিন্তু গ্রামবাসীরা অবাক হয় যখন বৃষ্টির সাথে আকাশ থেকে ঝরছে মাছও। রাস্তায়, বাড়ীর উঠানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে জলজ্যান্ত মাছ। গ্রামবাসী বিষয়টি প্রথমে ঠাওর করতে না পারলেও কিছুক্ষণ পর যখন বুঝতে পারে তখন তারা কুড়াতে থাকেন একের পর এক মাছ। ওই সময় সেই গ্রামের সবাই মিলে ৫০ কেজির মতো মাছ কুড়িয়ে ছিলেন।

তবে শ্রীলঙ্কায় মৎস্য বৃষ্টি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও এমন ঘটনা কয়েক বার ঘটেছে। এর আগে ২০১২ সালেও দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি গ্রামে প্রথম মাছ বৃষ্টি হয়েছিল। তখন চিংড়ি বৃষ্টি হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কম গভীরতার কোনো জলাশয়ের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্র বয়ে গেলে এমন জলঘূর্ণি ঘটতে পারে। এ সময় ওই জলাশয়ের পানিতে থাকা মাছ, ব্যাঙসহ সবকিছুই ঘূর্ণিবায়ুর সঙ্গে আকাশে উঠে যায়। এমনকি এই জলঘূর্ণি থেমে যাওয়ার পরও মেঘের স্তরের কারণে এরা সাময়িকভাবে আটকে থাকতে পারে ওপরেই। এতে আকাশে সাথে অনেক দূর চলে যায়। পরে আকাশের ঝড় থেমে গেলে এসব ঝরে পড়তে থাকে।

তবে পেছনে ফিরে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের লাজামানুতে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছিল ২০১০ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি মানে মাঝরাতে। আর ওই বৃষ্টিতে আকাশ থেকে নেমে এসেছিল হাজার হাজার ছোট ছোট সাদা মাছ। মানুষজন মনের আনন্দে মাছ কুড়িয়ে ঝুড়ি ভরিয়ে ফেলেছিল। তবে মাছগুলো কিন্তু জ্যান্ত ছিল না। মনে হচ্ছিল ফ্রিজে রাখা মাছ কেউ উপুড় করে ঢেলে দিয়েছে আকাশ থেকে। এর আগে ১৯৮৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার ইপসউচ ও ১৯৬৬ সালে নর্থ সিডনিতেও মাছবৃষ্টি হয়েছিল। ১৮৬১ সালের ফেব্র“য়ারিতে সিঙ্গাপুরে হয়েছিল মাছবৃষ্টি। তবে এর কারণ ছিল ভূমিক¤প।

উত্তর আর দক্ষিণ আমেরিকা এই দুই মহাদেশের ঠিক মাঝের দেশটি হন্ডুরাস। দেশটির ইয়োরো ডিপার্টমেন্টের রাজধানী ইয়োরো। প্রতিবছর মে আর জুলাই মাসে ইয়োরোর আকাশ ঢাকা থাকে কালো মেঘে। প্রচুর বজ্রপাত হয়। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টিও। বৃষ্টি থামার পর ইয়োরোর মানুষজন দেখে মাটির উপর পড়ে আছে প্রচুর জ্যান্ত মাছ। গ্রামবাসীরা ওসব মাছ তুলে নিয়ে রান্না করেও খায়।

এদিকে ১৯৯৮ সাল থেকে মাছবৃষ্টি উৎসব পালন করে আসছে হন্ডুরাসের ইয়োরোর মানুষ। ২০০৬ সালের ১৬ জুলাই হন্ডুরাসের জাতীয় টেলিভিশনের রিপোর্টেও বলা হয়, বছরে কমপক্ষে দুইবার মাছবৃষ্টির কথা।

খুব সাদামাটা একটা ব্যাখ্যাও পাওয়া গেছে। আর সেটা হচ্ছে আবহাওয়ার প্রভাবেই এমনটা হয়।ইয়োরো থেকে আটলান্টিক মহাসাগরের দূরত্ব মাত্র ১৪০ মাইল। আটলান্টিক থেকেই সাগরের পানি বা®পীভূত হয়ে আকাশে ওঠার সময় ছোট ছোট মাছও তুলে নেয় আকাশে। তারপর মেঘের সঙ্গে বাতাসে ভেসে চলে আসে ইয়োরোর আকাশে। আর বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে ইয়োরোর মাটিতে। তবে অন্য এক ব্যাখ্যায় বলা হয়, স্বাদু পানির মাছেরা জোয়ারের সময় নদী থেকে সাঁতরে চলে আসে। তারপর বৃষ্টির সময় বাতাসের সঙ্গে ভাসতে ভাসতে এসে পড়ে ইয়োরোতে। হন্ডরাসের এই মাছবৃষ্টি হচ্ছে অনেক বছর ধরে। তবে কবে থেকে হচ্ছে, সেটা সঠিক জানা যায়নি। মাছবৃষ্টি নিয়ে কিছু হন্ডুরাসবাসীর রয়েছে এক লৌকিক বিশ্বাস। আঠার শতকে হন্ডুরাসে এসেছিলেন ক্যাথলিক মিশনারি যাজক ফাদার জোসে ম্যানুয়েল সুবিরানা। এসেই তিনি দেখেন হন্ডুরাসের এ অঞ্চলের মানুষ ভীষণ দরিদ্র। খাবারের বড্ড অভাব তাদের। সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের এই দারিদ্র ঘোচানোর জন্য আকুল প্রার্থনা জানালেন যাজকবাবা। আর তাতেই ঘটে গেল অদ্ভুত ব্যাপার। শুরু হল মাছবৃষ্টি। সৃষ্টিকর্তাই বৃষ্টির মতো করে মাছ পাঠিয়েছেন আকাশ থেকে। ১৯৪৭ সালের অক্টোবরের ২৩ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় মাছবৃষ্টি হয় গালফ অব মেক্সিকোয়। ১৩০ কিলোমিটারের চেয়েও লম্বা এলাকায়। ১৯৯৫ সালের গিনেস বুক অব অডিটিসে এর উল্লেখ আছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied