আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

যৌতুকের কারনে বিয়ে ভেঙ্গে গেলো আদুরীর; মাতব্বররা হাতিয়ে নিল ২ লাখ টাকা

শনিবার, ১০ মে ২০১৪, দুপুর ০৪:৩৭

অভিযোগে জানা যায় নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের মাহাতাব উদ্দিন (ঢেপু) এর পুত্র সেনা সদস্য জয়নাল আবেদিন (২৬) এর সাথে গত ৪ মাস আগে একই ইউনিয়নের মিয়া পাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের কন্যা লিয়া আক্তার আদুরীর সাথে প্রাথমিকভাবে বিয়ে ঠিক করা হয়। বলা হয় ৪ মে, ছেলে ছুটিতে আসলে এ বিয়ে হবে। এর আগে উভয় পরিবার ঘটকের মাধ্যমে ছেলে মেয়ের দেখা শোনা করে। এ অবস্থায় ছেলে মেয়ে মুঠোফোনে নিয়মিত কথাবার্তা বলায় তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এ অবস্থায় ৪ মে সেনা সদস্য জয়নাল আবেদিন ছুটিতে বাড়ি আসে। কিন্তু সেনা সদস্য জয়নাল আবেদীন ,লিয়া আক্তার আদুরীকে বাদ বিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার জন্য মেয়ে ঠিক করে। এ খবর লিয়া আক্তার আদুরী পেলে সে এর প্রতিবাদ করে গত ৬ মে মঙ্গলবার বিয়ের দাবি নিয়ে সেনা সদস্য জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে এসে অবস্থায় নেয়। মেয়েটির অভিযোগ বিয়ের নামে জয়নাল এর আগে এসে তার সর্বনাশও করেছে। এ অবস্থায় গ্রাম্য মাতব্বররা ঘটনাটি মিমাংসা করার জন্য উঠে পড়ে লাগে।

এলাকাবাসী ও মেয়েটি অভিযোগ করে জানায় শুক্রবার রাতে, এক সালিশ বৈঠকে মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহার হোসেন দুলাল ও মাতব্বর আইয়ুব আলী সরকার সহ আরো বেশ কিছু মাতব্বর এ বিয়ের জন্য ছেলে পক্ষ কে ৫ লাখ যৌতুকের দাবি করে। এ যৌতুক দেয়া হলে বিয়ে হবে নতুবা হবেনা। এ জন্য মেয়েটিকে পিতা জয়নাল আবেদীনের কাছ থেকে যৌতুকের ৫ লাখ নিয়ে আসতে বলে।

মেয়েটির পিতা আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলে জানান, চেয়ারম্যান ও মাতব্বররা আমার কাছ থেকে জয়নালের হয়ে যৌতুকের ৩লাখ টাকা দাবী করে। কিন্তু আমি গরীব একজন নছিমন চালক । এত টাকা আমি কোথায় পাব। ফলে তারা এ যৌতুকের কারনে এ বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে আমার মেয়েকে জয়নালের বাড়ি থেকে জোড় পূর্বক বাহির করে দেয়। এখন আমার মেয়ের কি হবে। আমি এর বিচার চাই। তিনি বলেন চেয়ারম্যান ও মাতব্বররা এ বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে ছেলে পক্ষের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

সেনা সদস্য জয়নাল ও মেয়ে আদুরির বিয়ের ঘটক জিবরাইল মিয়া বলেন ৪ মাস আগে তাদের পারিবারিক ভাবে দেখা শোনার পর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। এখন জয়নাল এ মেয়েকে যৌতুকের ৫ লাখ টাকা না পাওয়ায় বিয়ে করতে অস্বীকৃতি করছে।

এদিকে এলাকার মোজাম্মেল হক মেজবাউজ্জামান ও কাওছার হামিদ অভিযোগ করে বলেন,চেয়ারম্যান ও মাতব্বররা মেয়েটিকে সেনা বাহিনীর সদস্য জয়নালের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার কৌশলে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আর মেয়েটিকে জয়নালের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার জন্য তারা ২লাখ টাকা জয়নালের নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে সেনা সদস্য জয়নাল আবেদীনের সাথে সাংবাদিকরা তার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমি ওই মেয়েকে চিনিনা জানিনা। তবে এমন ঘটনা ঘটিয়ে গ্রামের মাতব্বররা তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কোন সেনানিবাসে কর্মরত রয়েছেন তা জানাতে অস্বীকৃতি জানায় জয়নাল আবেদীন।

গ্রাম্যমাতব্বর আইয়ুব আলী সরকার সাংবাদিকদের বলেন ছেলে পক্ষ ৫ লাখ টাকা যৌতুক চায়। মেয়ে পক্ষ দিতে পারেনি। তাই বিয়ে হয়নি। এক প্রশ্নে জবাবে তিনি মেয়েটির জন্য ছেলে পক্ষের নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন বলেন টাকা চেয়ারম্যানের কাছে জমা রয়েছে।

এ ব্যাপারে মাগুড়া ইউনি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন সেনা সদস্য জয়নালের সাথে মেয়েটির বিয়ে দেয়ার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ নিয়ে সালিশ বৈঠক করা হয়। এতে ছেলে পক্ষের দাবির ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় এ বিয়ে ভেঙ্গে গেছে। তবে মেয়েটিতে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার জন্য আমরা ছেলে পক্ষের কাছ থেকে ২ লাখ নিয়েছি। মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে দেয়ার সময় এ টাকা খরচ করা হবে। এ টাকা ভাগবাটোয়ারা করা হয়নি বলে চেয়ারম্যান দাবি করেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied