রবিবার, ১৮ মে ২০১৪, বিকাল ০৭:২৮
জীবিত অবস্থায় তার আবেদন নিবেদনে সাড়া না দিলেও মৃত্যুর পর ৩০ মিনিট পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বয়স্ক ভাতার টাকা প্রদান করেছেন। কিন্তু আওলাদ কি জানতেন বয়স্ক ভাতার টাকা দিয়ে তার দাফন কাফন হবে? ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আওলাদ হোসেনের সেই বয়স্ক ভাতা টাকা নিয়ে সন্ধ্যায় একটি কাপড়ের দোকানে দাফনের কাপর কিনার জন্য একটি দোকানে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পরছে নিহত আওলাদের স্ত্রী। প্রতক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বৈরাতী ও কাশিরাম গ্রামের ২১০ জন বয়স্ক ব্যক্তির মাঝে গতকাল ভাতার টাকা বিতরণ করা হয়। টাকা পেতে সেখানে সকাল থেকেই নানা বয়সী বয়োবৃদ্ধরা অপেক্ষা করতে থাকেন। আর দুপুর দুইটার পর টাকা দেওয়া শুরু হয় বলে অধিকাংশরাই অভিযোগ করেছেন। তুষভান্ডার বাজারে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের কালীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির সামনে থাকা স্থানীয় একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের চত্বরে ওই শাখার একজন জুনিয়র অফিসার বয়স্কদের মাঝে টাকা বিতরণ করছিলেন। বয়স্কভাতা নিতে আসা আব্দুল মান্নান, আবু বক্করসহ অনেকেই জানান, ‘আমরা খোলা আকাশের নিচে ঘাসের ওপর বসে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছি। সেখানে আওলাদও ছিলেন। এরই একপর্যায়ে বিকেল তিনটার পর হঠাৎ আওলাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেখানেই মারা যান। এরপর তাঁর পরিবারের লোকজন এসে টাকাসহ মরদেহ নিয়ে যান’। আওলাদের ছেলে শহিদুল জানান, ‘আব্বা সকালেই তেমন কিছু না খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর সারাদিন রোদে বসে থাকতে থাকতেই সেখানেই মারা যান’। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অনেক দূর থেকে টাকা নিতে এসে হরহামেশাই বয়স্ক মানুষদের অপেক্ষা করতে হয়। এমনকি টাকা পেতে পেতে সন্ধ্যাও হয়ে যায়। এতে মাঝে মধ্যেই কেউ কেউ অসুস্থ হন। আবার টাকা প্রদানের স্থানটি লালমনিরহাট-বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হওয়ায় কেউ আবার দুর্ঘটনারও স্বীকার হন। কিন্তু বিষয়টিকে মানবিকভাবে দেখেন না ব্যাংকের লোকজন। টাকা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা কালীগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার আব্দুল জলিল দাবি করেন, ‘দুপুর ১২টার মধ্যেই টাকা দেওয়া শুরু হয়। এরই মাঝে আওলাদ মারা যান’।
জীবিত অবস্থায় তার আবেদন নিবেদনে সাড়া না দিলেও মৃত্যুর পর ৩০ মিনিট পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বয়স্ক ভাতার টাকা প্রদান করেছেন। কিন্তু আওলাদ কি জানতেন বয়স্ক ভাতার টাকা দিয়ে তার দাফন কাফন হবে? ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আওলাদ হোসেনের সেই বয়স্ক ভাতা টাকা নিয়ে সন্ধ্যায় একটি কাপড়ের দোকানে দাফনের কাপর কিনার জন্য একটি দোকানে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পরছে নিহত আওলাদের স্ত্রী।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বৈরাতী ও কাশিরাম গ্রামের ২১০ জন বয়স্ক ব্যক্তির মাঝে গতকাল ভাতার টাকা বিতরণ করা হয়। টাকা পেতে সেখানে সকাল থেকেই নানা বয়সী বয়োবৃদ্ধরা অপেক্ষা করতে থাকেন। আর দুপুর দুইটার পর টাকা দেওয়া শুরু হয় বলে অধিকাংশরাই অভিযোগ করেছেন। তুষভান্ডার বাজারে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের কালীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির সামনে থাকা স্থানীয় একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের চত্বরে ওই শাখার একজন জুনিয়র অফিসার বয়স্কদের মাঝে টাকা বিতরণ করছিলেন।
বয়স্কভাতা নিতে আসা আব্দুল মান্নান, আবু বক্করসহ অনেকেই জানান, ‘আমরা খোলা আকাশের নিচে ঘাসের ওপর বসে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছি। সেখানে আওলাদও ছিলেন। এরই একপর্যায়ে বিকেল তিনটার পর হঠাৎ আওলাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেখানেই মারা যান। এরপর তাঁর পরিবারের লোকজন এসে টাকাসহ মরদেহ নিয়ে যান’।
আওলাদের ছেলে শহিদুল জানান, ‘আব্বা সকালেই তেমন কিছু না খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর সারাদিন রোদে বসে থাকতে থাকতেই সেখানেই মারা যান’।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অনেক দূর থেকে টাকা নিতে এসে হরহামেশাই বয়স্ক মানুষদের অপেক্ষা করতে হয়। এমনকি টাকা পেতে পেতে সন্ধ্যাও হয়ে যায়। এতে মাঝে মধ্যেই কেউ কেউ অসুস্থ হন। আবার টাকা প্রদানের স্থানটি লালমনিরহাট-বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হওয়ায় কেউ আবার দুর্ঘটনারও স্বীকার হন। কিন্তু বিষয়টিকে মানবিকভাবে দেখেন না ব্যাংকের লোকজন।
টাকা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা কালীগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার আব্দুল জলিল দাবি করেন, ‘দুপুর ১২টার মধ্যেই টাকা দেওয়া শুরু হয়। এরই মাঝে আওলাদ মারা যান’।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম